বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় কুলসুম বেগম নামের এক নারীকে আটকে রেখে তাঁর ভাই নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কুলসুমের ছেলে মো. সেলিম গত বৃহস্পতিবার বরিশাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণ এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিল্লগ্রাম গ্রামের মৃত রহমালী হাওলাদারের মেয়ে কুলসুমের সঙ্গে একই উপজেলার দক্ষিণ পিংলাকাঠী গ্রামের স্কুলশিক্ষক আবদুল হামিদের বিয়ে হয়। ১৯৯০ সালে হামিদ মারা যান। এর পর থেকে ছেলে সেলিমকে নিয়ে কুলসুম তাঁর পৈতৃক বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। কুলসুম ওয়ারিশ সূত্রে এবং নিজের নামের ৭২ শতাংশ জমির মালিক। যার আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা।
মামলায় বাদী সেলিম উল্লেখ করেন, তাঁর মা কুলসুমের সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নেওয়ার পাঁয়তারা করে আসছেন তাঁর (সেলিম) মামা মফসের হাওলাদার ও মামাতো ভাই কালাম হাওলাদার। ৭ জানুয়ারি জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে কুলসুমের কাছ থেকে ৩০ শতাংশ জমি লিখে নেন মফসের। অবশিষ্ট জমি লিখে নিতে কুলসুমের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি গৌরনদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মফসের বলেন, নির্যাতন করার কোনো ঘটনা নেই। কিছু সমস্যা ছিল। সমাধান হয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সেলিম সরদার বাদী হয়ে তাঁর মামা মফসের এবং মামাতো ভাই কালাম হাওলাদারসহ তিনজনকে আসামি করে বরিশাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। গতকাল শনিবার গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ‘এখনো আদালতের কোনো নির্দেশনা আমার হাতে পৌঁছায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’