আগামী দিনে সরকার পতনের আন্দোলনে গতি আনতে অতিশীঘ্রই দলের জাতীয় কাউন্সিলের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে যারা সক্রিয় ছিলেন না, তাদের ওপর আস্তাহীনতার জন্যই দলে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যোগ্য নেতাকে যোগ্য জায়গায় নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, মার্চ-এপ্রিলের দিকে দলের ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হতে পারে। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে বিএনপি একজন পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব পাবে। দলের বর্তমান মহাসচিব নানা কর্মকান্ডের জন্য বিতর্কিত হওয়ায়, নতুন মহাসচিবের দাবি উঠেছে দলে।
তার কর্মকান্ডে বিরক্ত তারেক রহমানও। তাই অপূর্ণাঙ্গ বা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এদিকে নির্দলীয় সরকারের দাবীতে চলমান আন্দোলনে নিষক্রিয় নেতাদের বাদ দিয়ে সক্রিয়দের দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে ইতিমধ্যে খালেদা জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যায়।
আর এ জন্য প্রথমেই দলের জাতীয় কাউন্সিল করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কাউন্সিলের পর ঢেলে সাজানো হবে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি।
তাই দলীয় কাউন্সিল করার পূর্বেই খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি নির্বাচন র্পূব ও পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতন, সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাবলীর প্রকৃত চিত্র হাতে পেতে চান। এ জন্য তিনি বিভিন্ন পেশাজীবীদের দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি কমিটিও গঠন করেছেন।
সূত্র জানায়, নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনে ঢাকা মহানগর কমিটির ভূমিকা ছিল একেবারেই শূন্যের কোঠায়। আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা কারামুক্ত হওয়ার পরই ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগর কমিটিকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করা হতে পারে। এ বিষয়ে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মত রয়েছে।
জানা গেছে, কঠোর কোনো কর্মসূচির চিন্তা বাদ দিয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে মনোযোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। তাই শীতের তীব্রতা কমলেই জেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফরে বের হবেন তিনি। এই সফরকালে জেলা ও মহানগর কমিটিগুলোর সাংগঠনিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সূত্র জানায়, দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী জেলে রয়েছে সামনে বিশ্ব এজতেমা ও লেভেল এ লেভেল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা। তাই জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নতুন কৌশলে যথাসময়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তাই আপদত কোনো কঠোর কর্মসূচি নেই বললেই চলে।