‘নব্য বাকশাল’ হঠাতে ঐক্যের ডাক খালেদার

0
167
Print Friendly, PDF & Email

বর্তমান সরকার ‘বাকশালী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে’ গণতন্ত্রকে ‘মৃত্যুর মুখে’ ঠেলে দিয়েছে মন্তব্য করে এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “আজ আমাদের শপথ নিতে হবে- এই নব্য বাকশালী চেতনার জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করতে আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ভোটবিহীন নির্বাচনে জবর দখলকারী গণতন্ত্র-বিরোধী-শক্তিকে পরাভূত করতে হবে।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ‘জাতীয় ঐক্যের’ সরকার ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ ব্যবস্থাকে ‘একদলীয় শাসন’ আখ্যায়িত করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এ দিনটিকে পালন করে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে ।

দিনটি উপলক্ষে দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিরাপদ নয়।

“তৎকালীন সময়ে তারা সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করে এক প্রকার গায়ের জোরেই এক অগণতান্ত্রিক মধ্যযুগীয় আইন পাস করেছিল। এর মাধ্যমে মানুষের বাক, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়। চারটি প্রকাশনা ছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয় সব সংবাদপত্র। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণ শক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দিয়েছিল।”

এরপর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহী-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়’ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রর অগ্রযাত্রা’ শুরু করেন বলেও বিবৃতিতে দাবি করেন খালেদা।

তিনি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের বিপদ টের পেয়ে এবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে।”

৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘তামাশার নির্বাচন’ আখ্যায়িত করে খালেদা বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে এখন একক কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে বিভোর হয়ে সরকার দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করছে না।”

শেয়ার করুন