কখনো অতিরিক্ত চুল ঝরতে থাকলে বা মাথা টাক হতে শুরু করলে সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বৈকি। এখন জেনে নেওয়া যাক কী কী কারণে অতিরিক্ত চুল ঝরতে পারে।
—বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চুল পাতলা হওয়াটাই স্বাভাবিক। চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার পর প্রকৃতিগতভাবেই চুল পাতলা হয়ে যায়। পুরুষদের
.এন্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এমনিতেই টাক হওয়ার প্রবণতা থাকে, কারও একটু কম, কারও বেশি।
—টাক পড়ার ক্ষেত্রে বংশগত কারণও থাকতে পারে। সন্তান জন্মের পর চুল পড়ার হার বেশি বেড়ে যায়।
—থাইরয়েডের সমস্যা, টাইফয়েড জ্বর এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদি রোগে চুল বেশি পড়তে পারে।
—কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়তে পারে।
—মাথায় ছত্রাক সংক্রমণ, খুশকির আক্রমণ, অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা, ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি কারণও চুল বেশি পড়ার জন্য দায়ী। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও উদ্বেগ এবং আকস্মিক কঠিন খাদ্য নিয়ন্ত্রণের সময় চুল পড়ে।
বেশির ভাগ চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলেও একেবারে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ২-৫ শতাংশ মিনস্কিডিল ব্যবহার করে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ইদানীং চুল প্রতিস্থাপন করা হয়, কিন্তু মনে রাখবেন, এটি যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি অনেক সময় বিপজ্জনক।
চুলের জীবনকাল
দেহের প্রতিটি কোষের মতো চুলেও একটি নির্দিষ্ট আয়ু বা জীবনকাল আছে। একটি চুলের আয়ু সাধারণত দুই থেকে ছয় বছর। এরপর এটি এমনিই ঝরে যায়। তাই প্রতিদিন অন্তত ১০০টি চুল ঝরে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক।
প্রতিরোধ
— বয়সের সঙ্গে চুলের রং পরিবর্তন হয়, এটা মেনে নিতে শিখুন। কলপ, কৃত্রিম রং যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
— চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
— কোঁকড়া চুল সোজা করার চেষ্টা না করাই ভালো। প্রয়োজনে রাসায়নিকের পরিবর্তে রোলার ব্যবহার করুন।
— টেনে চুল বাঁধা ঠিক নয়। আস্তে চুল আঁচড়াবেন এবং ভেজা চুল বেশি আঁচড়াবেন না। নরম থাকতে চুল ঠিক করুন। ব্রাশের চেয়ে দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করা ভালো।
— পুষ্টিকর খাবার খান। প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ করুন। চুল খুশকিমুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন।
চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।