সহিংস রাজনীতি ছেড়ে নমনীয় হওয়ায় বিরোধী দলের নেতারা মুক্তি পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর এলেন বাড়িতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিঅরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে বিআরটিএর কার্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধী দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নমনীয়তার কারণেই আজ বিরোধী দলের নেতারা মুক্তি পাচ্ছেন। এর আগে তারা যে হারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে সহিংসতা চালিয়েছিল সেজন্যই তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চলমান সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলতে হচ্ছে।’
সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিরোধী ভোটার মনে করে তাদের ওপর নির্যাতন করা উচিৎ নয়। কারণ আমাদের দেশে যে পরিমাণ মুসলমান রয়েছে তার চেয়েও বেশি সংখ্যালঘু মুসলমান রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে।’
হরতাল অবরোধে যোগাযোগ খাতে ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হরতাল, অবরোধসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক সহিংসতায় গত এক বছরে শুধু বিআরটিএর ৪৭ জন গাড়ি চালক অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আগুনে পুড়েছে ৫ হাজার গাড়ি। সরকারি হিসেবে এর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ত্রিশ হাজার কোটি টাকা।’
বিআরটিএর দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতি রোধ করা। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ৬০ ভাগ দুর্নীতি কমিয়েছি। আগামী দু’বছরে তা ৮৫ ভাগে কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।’
ওবায়দুল কাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘গত বছর আমরা অনেক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারিনি। মানুষের স্বস্তির জন্য আমাদেরকে কিছু অপ্রিয় কাজ করতে হবে। এব্যাপারে কোনো ট্লারেন্স নেই। জিরো ট্লারেন্সে আমাদেরকে চলতে হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশে যথেষ্ট আইন রয়েছে। কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয় না। রাজনৈতিক কারণে সব সময় তা বাস্তবায়ন করাও সম্ভব নয়।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন প্রমুখ।