বিচারকের স্টেনোকে দুদকে তলব

0
161
Print Friendly, PDF & Email

টাকা পাচার মামলায় তারেক রহমানকে খালাস প্রদানকারী বিচারক মোতাহার হোসেনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট আদালতের দুই স্টেনোগ্রাফারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।
তলবকৃতরা হলেন- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর স্টেনোগ্রাফার মো. আবু হাসান এবং বিশেষ জজ আদালত -৩ এর স্টেনোগ্রাফার মো. নরুল ইসলাম।

গত মঙ্গলবার পাঠানো নোটিশে তাদের আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি সকাল ১০টা রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার’-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে আদেশ দেন ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ-৩ আদালতের সাবেক বিচারক মোতাহার হোসেন। শুধু তাই নয় মোতাহার হোসেনের বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে। গত ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান।

গত ২০ জানুয়ারি উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদকে বিচারকের সম্পদ অনুসন্ধানকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত সূত্র জানায়, দুই সপ্তাহ আগে মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে সংস্থাটির কাছে। এসব অভিযোগ নিজস্ব সূত্রে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে সংস্থাটি। অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

দুদক সূত্রে জানা যায়,বিচারক মোতাহার হোসেনের নামে বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ পাওয়া রয়েছে। তাঁর ছেলে লন্ডনে থেকে পড়াশোনা করেন। লন্ডনে মোতাহার হোসেন বাড়ি কিনেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে তিনি সম্প্রতি দুটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। এ ছাড়া তাঁর গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে কৃষি-অকৃষি জমি কিনেছেন।

২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক।

গত বছরের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদ-সহ সাত বছরের সশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন