ঢাকায় সফররত ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিস্তা চুক্তি সই এবং সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে ভারত। ‘সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টায় ভারত’।
ঢাকায় সফররত ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সংক্রান্ত ডেস্কের যুগ্ম সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অনুবিভাগের মহাপরিচালক তারেক আরিফুল হকের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, “শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিষয়ক ডেস্কের দায়িত্ব পাওয়ার পর এটা একটি পরিচিতিমূলক সফর। বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল বরাবরের মতোই তিস্তা চুক্তি সই এবং সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে আশ্বাস দিয়েছে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরকালে ছিটমহল বিনিময়, অপদখলীয় ভূমি হস্তান্তর এবং অচিহ্নিত স্থলসীমান্ত চিহ্নিতকরণ সম্বলিত সীমান্ত প্রটোকল সই করে। ১৯৭৪ সালের সীমান্ত চুক্তির আওতায় এই প্রটোকল সই হয়। এই চুক্তির বাস্তবায়ন করতে হলে ভারত ও বাংলাদেশে সংবিধান সংশোধন অবশ্যক। কিন্তু ভারতের পার্লামেন্টে এটি পাস করানোর বিষয়টি বিরোধী কয়েকটি দলের আপত্তির মুখে পড়েছে। অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়ের আপত্তির কারণে সই হচ্ছে না তিস্তা চুক্তি।
শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি মঙ্গলবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তিন দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় আসার পূর্বে প্রতিনিধি দলটি বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে স্থল শুল্ক স্টেশনের সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করে। বুধবার প্রতিনিধি দলটি সফর শেষ করে দিল্লি ফিরে যাবে।