স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, চিফ হুইপ কে হচ্ছেন

0
124
Print Friendly, PDF & Email

কে হচ্ছেন নতুন স্পিকার? শিরীন শারমিন চৌধুরী, নাকি নতুন কেউ। এ আলোচনা সরকার ও আওয়ামী লীগের ভেতরে। তবে ফজলে রাব্বী যে ডেপুটি স্পিকার হচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত।

আবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটির সঙ্গেও শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম জড়িয়ে গেছে। সরকারি দলের ভেতরে আলোচনা আছে, এ দুই পদের যেকোনো একটিতে শিরীন শারমিন থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরোয়া এক আলোচনায় শিরীন শারমিনকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

২৯ জানুয়ারির আগে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা না থাকায় বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নতুন করে এ পদে থাকার সুযোগ নেই। সংবিধান অনুসারে, নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়। স্পিকার নির্বাচনের জন্য সংসদ সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক।

শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য নন। সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ফরম কিনলেও সংসদের প্রথম বৈঠকের আগে নির্বাচন হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, শিরীন শারমিন চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রীর ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৬ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হবে। গতকাল হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে শেখ হাসিনা সফরসঙ্গী মন্ত্রীদের এ রকম আভাস দিয়েছেন। উপনির্বাচনে তিনি জয়ী হলে তাঁকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আবার এ পদে নির্বাচনকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর নামও আলোচনায় আছে। তবে শেখ হাসিনা সর্বশেষ কী সিদ্ধান্ত নেন, তা জানার জন্য উপনির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি রংপুর-৬ আসনের উপনির্বাচন।

দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় এখন নতুন স্পিকার খুঁজছে। কাকে এ দায়িত্ব দেওয়া যায়, তা নিয়ে দলে আলোচনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত স্পিকার পদে আলী আশরাফ ও আবদুল মতিন খসরুর নাম আলোচিত হচ্ছে। এ দুজনের একজন স্পিকারের দায়িত্ব পেতে পারেন। আলী আশরাফ কিছু সময় ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আবদুল মতিন খসরু আইনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ পদে পরিবর্তন আসছে, এটাও প্রায় নিশ্চিত। এ পদে আ স ম ফিরোজকে নেওয়া হতে পারে। ফিরোজ গত পাঁচ বছর হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীকেও সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী নিয়োগের বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত দলে তেমন আলোচনা নেই। কেউ কেউ মনে করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপাতত প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতেই রাখতে পারেন। সূত্র: প্রথম আলো

শেয়ার করুন