মাত্র ১৬ বছর বয়সে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে বিশ্বরেকর্ড গড়ল লিউইস ক্লার্ক। লন্ডনের ওই স্কুলছাত্র নিজের কীর্তিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আটলান্টিক উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সে। ৪৮ দিনে হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যায় দক্ষিণ মেরু। তুষারঝড়, মাইনাসের অনেক নিচে নেমে যাওয়া তাপমাত্রা, দীর্ঘ যাত্রাপথে বাধা ছিল অনেক। কিন্তু ছোট্ট অভিযাত্রীর ইচ্ছাশক্তির কাছে সব প্রতিবন্ধকতাই হার মেনেছে।
ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে চাঁদের পাহাড়েও না হয় পৌঁছনো যায়। কিন্তু তা বলে একেবারে দক্ষিণ মেরু!
গত নভেম্বরে ছিল ষোলোতম জন্মদিন। তার ঠিক দুই সপ্তাহ পরই বেরিয়ে পড়ে লিউইস ক্লার্ক। ব্রিস্টলের দ্য ক্যুইন এলিজাবেথ হসপিটাল স্কুলের ছাত্র। ২ ডিসেম্বর অাটলান্টিক উপকূল থেকে দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে রওনা হয় সে। মাত্র ৪৮ দিনে এক হাজার ১২৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌছে যায় দক্ষিণ মেরুর আমুন্ডসেন-স্কট স্টেশনে। এর আগে এত কম বয়সে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছনোর রেকর্ড কারো নেই।
কেমন ছিল এই যাত্রাপথ? মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রির নিচে চলে যাওয়া তাপমাত্রা। ঘণ্টায় ১৯৩ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসা তুষার ঝড়। চলার পথে স্কি ভেঙে গিয়েছে। পথ যত ওপরে উঠে গিয়েছে,উচ্চতার কারণে বেড়েছে শ্বাকষ্ট, সর্দিকাশি। কিন্তু এত বাধার মধ্যেও হার মানেনি ছোট্ট অভিযাত্রী। ইচ্ছাশক্তির জোরে সব বাধা টপকে দক্ষিণ মেরুতে পৌছে যায় লিউইস ক্লার্ক।
অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হয়েছে অনেক। প্রতিদিন গড়ে আটঘণ্টা করে স্কি করতে হয়েছে ক্লার্ককে। নিজেকেই টেনে নিয়ে যেতে হয়েছে স্লেজগাড়ি।
লিউইস ক্লার্কের আগে সবচেয়ে কম বয়সে দক্ষিণ মেরুতে পৌছানোর রেকর্ড রয়েছে ম্যাক নায়ার ল্যান্ড্রির। কানাডার ওই কন্যা দক্ষিণ মেরু পৌঁছেছিলেন মাত্র ১৮ বছর বয়সে। ২০০৫ সালে অতলান্তিক উপকূল থেকেই যাত্রা শুরু করেছিলনে তিনি। এবার তাঁর চেয়েও কম বয়সে দক্ষিণ মেরু পৌছে রেকর্ড গড়ল লিউইস ক্লার্ক। যদিও এটা ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নিয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করেনি গিনেস কর্তৃপক্ষ। যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখেই বিশ্ব রেকর্ডের ঘোষণা করবে তারা। জিনিউজ –