সাবেক মন্ত্রী দুলুর সাড়ে ১৩ মাস পর জামিন

0
200
Print Friendly, PDF & Email

নাটোর প্রতিনিধি
বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নাটোর জেলা সভাপতি সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রম্নহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু যুবলীগ নেতা পলাশ হত্যা মামলায় আটক হয়ে বিনা বিচারে টানা প্রায় সাড়ে ১৩ মাস কারাবাসের রোববার উচ্চ আদালত জামিনের নির্দেশ দিয়েছে৷ দুলুর পক্ষে রোববার সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এজে মোমম্মদ আলী, সাবেক এটনর্ী জেনারেল হাসান আরিফ ও অ্যাডভোকেট আমিনুল হক হেলাল হাইকোর্টের বিচারক বোরহান উদ্দিন ও কে এম কামরম্নল কাদেরের যৌথ বেঞ্চে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাকে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন৷ এ সময় ডেপুটি এটর্নী জেনারেল মোঃ সেলিম জামিনের বিরোধীতা করেন৷
২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে আটকের পর থেকে তিনি নাটোর, দিনাজপুর, ঢাকা ও রাজশাহী কারাগারে অবস্থানের পাশাপাশি দীর্ঘ সময় থেকে অসুস্থ্যতার জন্য ঢাকা এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে ভর্তি থাকেন৷ এখনও তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সকদের নিবিড় তত্ববধানে আছেন৷ এই দীর্ঘ সময় ধরে মামলার তদনত্মকাজই চলছে, বিচারিক কাজ শুরম্ন হয়নি৷ এর আগে উচ্চ আদালত জামিন দিলেও আপিল বিভাগ তা স্থগীত করায় আজও তিনি মুক্ত হতে না পারায় তার দল ও পরিবারের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা৷ ঘটনার রাত ১১টার দিকে দুলুর বাসার সামনে দু’পক্ষের সংঘর্ষে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন ডান কানে গুলিবিদ্ধ হন আর শহর যুবলীগের নেতা পলাশ চন্দ্র কর্মকার পিঠে গুলিবিদ্ধ হন৷ এর কয়েক মিনিট পরে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশের কথা বলে নাটোরের তত্‍কালিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুজ্জ্ামান ফারম্নকী ও সহকারী পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদের নেতৃত্বে শতাধিক পুলিশ দুলুর বাসার চারপাশে অবস্থান নেন৷ রাত একটার দিকে দুলুসহ চার বিএনপি কমর্ীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায৷ দু’দিন পর হাসপাতালে পলাশ মারা গেলে সাবেক মন্ত্রী দুলুকে ওই হত্যা মামলায় আটক দেখানো হয়৷ দুলুর মুক্তির দাবীতে গত ২ ডিসেম্বর নাটোর জেলায় ডাকা হরতালে যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রদল নেতা সাইফুজ্জামান সুজন নিহত হয়েছে৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে দুলুর ভাতিজা জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই তালুকদাল ডালিমসহ চারজন৷ এ ঘটনায় নাটোর জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ১৯জনের বিরম্নদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন নিহত সুজনের বড় ভাই মোঃ শহিদুজ্জামান খোকন৷

শেয়ার করুন