জামায়াত সঙ্গ ছাড়তে বিএনপিতে মতবিরোধ

0
126
Print Friendly, PDF & Email

যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত দলটির শীর্ষ নেতারা। জামায়াত ইসলামীর সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ আপত্তি জানানোর পর বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। ।

জানা গেছে, দলের সিনিয়র বড় নেতাদের একটি অংশ শিগগিরই জামায়াত ছাড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তারা মনে করেন, যুদ্ধপরাধের অভিযোগ এবং সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী আন্দোলনে জামায়াত যে সহিংসতা দেখিয়েছে তাতে জোটের শরিক হয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আর জামায়াতের নেতিবাচক ভাবমূর্তির কারণে বিদের্শী প্রভাবশালী বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বিএনপির পক্ষে জোরালো অবস্থান নিচ্ছে না।

তারা মনে করেন, বিএনপি যদি জামায়াতকে না ছাড়ে তাহলে সরকার বিদেশী রাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের কাছে জামায়াতের সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে আন্তজার্তিক মহলে তাদের পক্ষে সমর্থন নিয়ে যাবে। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সময় কূটনীতিকরা জামায়াতের ব্যাপারে আপত্তি জানান। আর সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত তারা।

সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে জামায়াত ছাড়ার ব্যাপারে বিএনপি উদ্যোগ নিতে পারে বলে জানা গেছে।

অপরপক্ষে, বিএনপি-জামায়াতের জোট অটুট রাখতে সক্রিয় বিএনপিতে জামায়াতপন্থী বা ডানপন্থী হিসাবে পরিচিত নেতারা। তারা মনে করেন, এই মুহুর্তে বিএনপি-জামায়াত জোট ভেঙ্গে গেলে সরকার বিরোধী আন্দোলন আরো দূর্বল হয়ে যাবে। আর এতে সরকার বিএনপির উপর আরো দমন পীড়ন চালাবে। বিএনপি জামায়াত ছাড়ছে এই গুঞ্জনের পর অনেকটা নড়ে চড়ে বসে জামায়াতের নেতারা। তারা এই পক্ষের বিএনপির নেতাদের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কাছে জামায়াতকে এখনই না ছাড়ার অনুরোধ জানান।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে(অব.) মাহবুবুর রহমান এটিএন টাইমসকে বলেন, জামায়াতের ব্যাপারেও বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি আছে। ইতোমধ্যে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট স্থায়ী নয়। সময়মতো জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার ঘোষণা দিবেন। তিনি বলেন, আমাদের আগামী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

শেয়ার করুন