মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী মে-জুনের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন চাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত কূটনীতিকদের প্রথম বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা তার দেশের এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। ঐ বৈঠকেই প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অবশ্য এর নেতিবাচক জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রত্যাশাটা একটু বেশিই উচ্চাভিলাসী বলেই মনে হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক এবং আলোচনার মাধ্যমেই একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এটাই প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মিশর, রাশিয়া, চীন, জাপান, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সৌদি আরব, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কযুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পরে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, কূটনীতিকদের কাছে তিনি বিএনপি ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কূটনীতিকদের সংলাপের তাগিদ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারও সংলাপ চায়। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনোত্তর সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকা- বন্ধ করলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কথা বলেছেন। সেটিও বিবেচনাযোগ্য।
কূটনীতিকদের সংলাপের তাগিদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার অবশ্যই সংলাপ চায়। তবে খালেদা জিয়া যেভাবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন এবং নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পড়ার কথা উল্লেখ করেছেন তাতে মনে হয় বিএনপি আসলেই সংলাপ বা সমঝোতা চায় না। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর আলাদা কোনো চাপ নেই। আজকের বৈঠকেও কূটনীতিকেরা সরকারের ওপর চাপ আছে বলে কোনো বক্তব্য, বিবৃতি বা ইঙ্গিত দেননি।