কারা হচ্ছেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী?

0
118
Print Friendly, PDF & Email

৪৯ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলেও দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ণমন্ত্রী না থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা হচ্ছে। দুই মন্ত্রণালয়ে দুই প্রতিমন্ত্রী থাকলেও দেশে এই প্রথম স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী ছাড়া নতুন সরকার শপথ নিল। এ দুই মন্ত্রণালয়ে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন, তা নিয়ে সব মহলের আগ্রহ রয়েছে। আলোচনা আছে সরকার ও আওয়ামী লীগের ভেতরেও। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, এই মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কারও নাম প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় নেই। স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করছে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি। তবে প্রধানমন্ত্রী সৎ, দক্ষ ও যোগ্য কাউকে এ দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে চাইছেন। দায়িত্ব পেয়ে সরকারকে বিতর্কিত করতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই প্রধানমন্ত্রী এ দুই মন্ত্রণালয় নিয়ে নানা চিন্তা-ভাবনা করছেন। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, সরকারের শপথ নেওয়ার আগে শেখ হাসিনা স্বরাষ্ট্র অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দলীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দলের দায়িত্ব থাকায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়েই বহাল রাখা হয়। এ ছাড়া দলের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে। সরকারের শীর্ষপর্যায়ের কারও কারও মতে, আপাতত প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাখতে পারেন। তবে অন্য কাউকে এ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না সেটাও তিনি ভাবছেন। ১২ জানুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নামও উচ্চারিত হয়। শিরীন শারমিন সরাসরি নির্বাচন না করায় অনেকেই ধারণা করেছিলেন, তিনি স্পিকার পদে থাকছেন না। তবে গতকাল শিরীন শারমিন সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। সংরক্ষিত আসনে সাংসদ নির্বাচিত হলে তাঁর স্পিকার পদে নির্বাচিত হতে কোনো বাধা নেই। সরকারি সূত্রগুলো জানায়, ডেপুটি স্পিকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার পরিবর্তনের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কে আসছেন, তা অনেকটা নির্ভর করছে। নির্বাচনকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছেন। গতকালের পুনর্নির্বাচনে তিনি দিনাজপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আবার সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীকেও মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা গেছে। এক্ষেত্রে তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে মনে করেন শীর্ষপর্যায়ের কেউ কেউ।

শেয়ার করুন