বিএনপি আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা না দিয়ে নতুন কোনো ফন্দি আটছে কিনা? এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা না দিয়ে তারা নতুন কোনো ফন্দি আটছে কিনা এ নিয়ে আমরা সন্দিহান।” বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় বীরউত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমী’ আয়োজিত “খালেদা জিয়ার অপ-রাজনীতি এবং শেখ হাসিনা সরকারের যাত্রা শুরু” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিএনপিকে দায়িত্বশীল দলের ভূমিকা নেয়ার আহবান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “সংঘাতের পথ ছেড়ে বিএনপিকে দায়িত্বশীল দলের ভূমিকা পালনের আহবান জানাচ্ছি। আমরা একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপিকে সংসদে দেখতে চাই।” সংবাদ সম্মেলনে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বুধবার তিনি বক্তব্যে গত ৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের কটাক্ষ করেছেন। তাকে অনুরোধ করব আপনি একটু পড়াশুনা করেন তাহলে জানতে পারবেন দেশে কত উন্নয়ন হয়েছে।” হাছান মাহমুদ বলেন, “২০০১ সালে আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রেখে এসেছিলাম বিএনপি এসে তার ঘাটতি করেছিল। এরপর আবার আমরা ক্ষমতায় এসে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করেছি। বিএনপির আমলে মাথাপিচু আয় ছিল ৬০০ ডলার আর মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪ ডলারে।” বিএনপি নেত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যিনি অর্থনীতির প্যারামিটারগুলো বোঝেন না তিনি কীভাবে দেশের নেতৃত্ব দেবেন আমার বোধগম্য নয়।” বিগত সরকারের আমলের ৫ বছরে দারিদ্রতা বেড়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “বিএনপি সরকারে আমলে দারিদ্রতার হার ছিল শতকরা ৪০ শতাংশ। মহাজোট সরকারের আমলে তা এসে দাড়িয়েছে ২৬ শতাংশে।” আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংগঠনের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ কতোটুকু এগিয়েছে সে বিষয়ে খালেদা জিয়াকে পড়াশোনা করে জেনে নেয়ার আহ্বান জানান সাবেক এ মন্ত্রী। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ঠেকাতে বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘুদের যে পাহাড়া দেওয়ার আহবান জানিয়েছে সে প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি নেত্রীর অবস্থা অনেকটা ‘শর্প হইয়া দংশন করা ওঝা হইয়া ঝাড়’ এর মত। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের মদদ দিচ্ছেন আবার এখন তিনি বলছেন সংখ্যালঘুদের পাহাড়া দিতে। আমরা এর নিন্দা জানাই।” বর্তমান সরকারকে অভিন্দন জানান, সংঘাতের পথ পরিহার করুণ, জামায়াত শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করুন তাহলে আলোচনা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্ম লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয় প্রমুখ।