চিরাচরিত নিউইয়র্কের ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটতে থাকা পথচারীরা হঠাৎ একটি শিশুর কান্না শুনে অনেকেই এগিয়ে গিয়েছিলেন কৌতুহলে। কিন্তু তাদের প্রত্যেককেই ফিরতে হয়েছে বিস্ময় আর চমক নিয়ে। সেদিন একটি ট্রলিতে করে এভাবেই নিউইয়র্কবাসীদের চমকে দিতে পথে নেমেছিল রূপকথার ব্রিটিশ রূপকথার থিঙ্কমডো বা শয়তানের শিশু।
ভয়ঙ্কর চেহারার এই শয়তান শিশু হঠাৎ করে শুধু চমকে দিয়েই ক্ষান্ত হয় না। তারস্বরে কাঁদতে কাঁদতে সবার সামনেই গায়ের ওপর উগরে দেয় বমি। যা দেখে অনেকেরই পেট গুলিয়ে উঠবার কথা। শুধু তাই নয়, তার ট্রলিটি কারো নির্দেশ ছাড়াই যেন রাস্তার জিনিসপত্র উল্টে ফেলে একা একা এসে থামে পথচারীর সামনে। তারপর সদ্যজাত শিশুর কান্না আর তার মুখের ওপর থাকা থাকা কাপড়টি সড়ালেই বিপদ।
আসলে মূল বিষয়টি হলো হলিউডের মুক্তি প্রতিক্ষিত হরর ছবি ‘ডেভিলস ডিউ’ এর প্রচারণার কৌশল হিসেবেই এই শয়তান শিশুকে পথে নামানো হয়েছিল। রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে চালিত ভয়ঙ্কর চেহারর এই শয়তান শিশু আসলে সাধারণ পুতুল। এর রয়েছে মাথা ও চোখের পাতা নড়ানোর এবং বমি করার ক্ষমতা। আর বমি বলতে যা দেখা যায় সেটি আসলে সাদা রঙ।
মজার এই পুতুলটি তৈরি ও তাকে রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা করেছেন মিখায়েল ক্রিভিকা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা একটি মজার সামাজিক গবেষণার জন্য তৈরি। যা দ্বারা দেখতে চেষ্টা করেছি একটা পরিত্যক্ত স্ট্রোলার দেখে কতজন কৌতুহলি হয়ে এগিয়ে যায় এবং থিঙ্কমডোকে দেখে ভয় পায়।’