দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের আশঙ্কা

0
121
Print Friendly, PDF & Email

৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। এর ফলে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে তাতে বাংলাদেশ আবার ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’তে পরিণত হতে পারে। উন্নয়নের হার কমে যাবে, বাড়তে পারে দারিদ্র্য, অবনতি ঘটবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। সংবিধান রক্ষার দোহাই দেয়া হলেও এই নির্বাচনের মাধ্যমে বরং সংবিধানের গণতান্ত্রিক চেতনাকেই হরণ করা হয়েছে। নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে এমন অভিমত দিয়েছেন দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ। তারা আরো বলেছেন, এই নির্বাচন ভারত ছাড়া বহির্বিশ্বের আর কোনো দেশের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নয়। ৩০০ আসনের ১৫৩টিতে বিনা ভোটে প্রতিনিধি করা হয়েছে। এটা একেবারে অবৈধ। কারণ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদ সদস্যগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু ১৫৩ জন কোনো ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। আর কাল যেটা হলো (৫ জানুয়ারির নির্বাচন) জাল ভোট থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা নির্বাচনকে কলঙ্কিত করার জন্য করা হয়নি। এর একটি ছোট্ট উদাহরণ হলোÑ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলের জাল ভোট দেয়ার ঘটনা। কাজেই এই নির্বাচন অকার্যকর ও অবৈধ এবং এটাকে কোনো অর্থেই বৈধ বলা যায় না।
তিনি আরো বলেন, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নবম সংসদের মেয়াদ আছে। সংবিধান অনুসারে সংসদের মেয়াদ পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ রয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে, জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে, তারা বিরোধী দলের সাথে আলোচনা করে রোববারের নির্বাচনকে বাতিল করে আরেকটি নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে। হয়তো সরকার এ পথে হাঁটবে না। না হাঁটলে বিরোধী দলও আন্দোলনের মধ্যে থাকবে। সে ক্ষেত্রে দেশ আবার হেনরি কিসিঞ্জারের সেই ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র দিকেই যাবে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না। সঙ্কট উৎরাতে হলে পদক্ষেপ সরকারকেই নিতে হবে, সরকারপ্রধানকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সরকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নামে যে একতরফা নির্বাচন করেছে, এর কোনো নৈতিক সমর্থন নেই। সাংবিধানিকভাবে তারা দেখিয়েছে নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এতে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছিল না। ক্ষমতাসীনদের নিজেদের হিসাব অনুযায়ী যে ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে তাতেও তারা ১৬ কোটি মানুষের দেশ বৈধভাবে পরিচালনার অধিকারী হয়নি। তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচন দেশটাকে এক অরাজক পরিস্থিতিতে ফেলেছে। গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছে। এই নির্বাচন দেশে এবং বিদেশে কোনো জায়গাতেই গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেনি। সম্পূর্ণ প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে সেই সরকার কোনোভাবেই বৈধ সরকার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। দেশের জনগণ যদি কোনো সরকারকে বৈধ সরকার মনে না করে তাহলে এই সরকারকে কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না এবং গণতন্ত্রের যে সংগ্রাম তা অব্যাহত থাকবে। এই নির্বাচনের ফলে দেশে যে অস্থিরতা তৈরি হবেÑ তাতে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এতে দেশের মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করবে। বাংলাদেশ পৃথিবীতে যে মধ্যমপন্থী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হতো সেটাও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, যেভাবে নির্বাচন করেছে এভাবে নির্বাচন করা সম্ভব। আর্মি দিয়ে, পুলিশ দিয়ে, র‌্যাব দিয়ে। কিন্তু এই নির্বাচন দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। ভারত ছাড়া বিদেশের কোনো বন্ধুরাষ্ট্র এই নির্বাচনকে বৈধতা দেবে না। বিবিসি বলেছে, ২০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এত কম ভোট হলে কোনোভাবেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। তিনি বলেন, এখন সরকার গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণের ফলে এই নির্বাচনের পক্ষে কিছু গণমাধ্যমে প্রপাগান্ডা শুরু হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার বার বার বলছে, সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। এটা সত্যের অপলাপ। কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে বরং সংবিধানের স্পিরিটকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছেÑ ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ কিন্তু এই নির্বাচনে নির্বাচিতরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হননি। তা ছাড়া সংবিধানে বর্তমান সংসদের মেয়াদ পূর্তির পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের একটি বিকল্প পন্থা দেয়া আছে। সেটাও অনুসরণ করা হয়নি। সংসদ ভাঙা হয়নি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হয়নি। ফলে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের বেশির ভাগ মানুষ সিস্টেমের বাইরে থেকে গেল। এর ফলে অস্থিতিশীলতা বাড়বে। আর তা দূর করতে সরকার নির্যাতনের পন্থা, দমন-পীড়নের পন্থাই বেছে নেবে।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. পিয়াস করিম বলেছেন, নির্বাচন যে নৈতিকভাবে বৈধ হয়নি, সেটা তো স্পষ্ট। যেখানে ১৫৩টি আসনে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচন করা হয়েছে, যেখানে প্রত্যক্ষ ভোটে ১০ শতাংশ ভোটও পড়েনি, অথচ দেখানো হয়েছে লাখ লাখ ভোট পড়েছে। সব কিছু মিলিয়ে এই নির্বাচনকে নৈতিকভাবে বৈধ বলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এটা সত্য ভাষণ হয়নি। আজ প্রধানমন্ত্রীর যে সংবাদ সম্মেলন হলোÑ সেখানে বিরোধী দলকে আলোচনায় আসতে বলা হয়েছে। যে ভাষায় বলা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে, তাদের মধ্যে কোনো আন্তরিকতা নেই। ফলে দেশের ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে তা আমি জানি না। তিনি বলেন, তাহলে কি এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরাই দেশ চালাবে? পৃথিবীতে এমন নজির খুব কম। এই নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব যদি বৈধতা না দেয় তবে আমাদের দেশে এর একটা অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে। যে চাপটা আসবে, তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়বে।
বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, যারা কট্টর আওয়ামী লীগ সমর্থক এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কেবল তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ব্যাপক জনসমর্থন ছাড়া আজকালকের দিনে দেশ পরিচালনা খুবই দুরূহ। এটা নিশ্চিত যে, নতুন যে সরকার গঠিত হবে তারা উন্নয়নকার্যক্রমসহ দেশ পরিচালনার সব ক্ষেত্রেই অতীতের সরকারের মতো সাফল্য আনতে পারবে না এবং এর ফলে আমাদের উন্নয়নের হার কমে যাবে, আশঙ্কা করি, দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাবে। আইনশৃঙ্খলা ভালো থাকার সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আমরা একটা দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটে পড়ে গেলাম। তিনি আরো বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক জোটের সাথে আর কোনো সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছি না। ফলে এই সঙ্কট উৎরানোর কোনো উপায়ও আপাতত দেখছি না।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা যেটা দেখেছি, এটা কোনোভাবেই স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচন হতে পারে না। পাঁচ বছর ধরে মানুষ ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে। নতুন ও সিনিয়র ভোটাররা অপেক্ষায় ছিলেন ভোট দেয়ার জন্য। তারা অপেক্ষায় ছিলেন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য। কিন্তু দেশের ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে সাত কোটি ভোটার ভোট দিতে পারেননি। এ নির্বাচন নিয়ে অনেক সিরিয়াস ও মৌলিক প্রশ্ন দেখা দেবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায়ও আমি সন্তুষ্ট নই। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ১১১টি ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাহলে তাদের প্লান কী ছিল?
৬৪টি ভোটকেন্দ্রে একটিও ভোট পড়ল না। অথচ ওই সব ভোটকেন্দ্রের সব কিছু ঠিক ছিল। এটা কিভাবে সম্ভব?
দুপুর ১২টার সময় অনেক প্রার্থী প্রার্থিতা তুলে নিয়েছে। অভিযোগ করেছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না। মনে রাখতে হবে এটা শেষ নির্বাচন নয়, এর পরও নির্বাচন থাকবে এবং অন্য নির্বাচন কমিশনও দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার দায়িত্বও নির্বাচন কমিশনের।
তিনি আরো বলেন, দুই-তিন দিন পরও ইসি ভোটের পারসেন্ট জানাতে পারবে না, এটা হওয়ার কথা নয়। গত নির্বাচনে আমরা সন্ধ্যায় বলেছিলাম ৮০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে। ইসি যেটা বলবে তা গণনার পর।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাও ছবিতে দেখেছি একজন প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচন জনগণের মধ্যে নাড়া পড়েছে। যারা ভোট দিতে পারেননি তাদের মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার রাজনৈতিক ও অফিসিয়াল বক্তব্য। আর নির্বাচন সম্পর্কে ভারত যেটা বলেছে সেটা সরকারও ইতঃপূর্বে বলেছে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এই নির্বাচন করা।
সুজনের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটা বৈধ নির্বাচন কি না তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। মনে রাখতে হবে যেনতেন একটি নির্বাচন করে ফেললে হবে না। মানসম্মত নির্বাচন হতে হবে। যে নির্বাচন হলো তা কোনোভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন বলা যাবে না। আমরা যে তথ্য পেয়েছি এটা মানসম্মত নির্বাচন হয়নি। এটা একটা নামসর্বস্ব নির্বাচন হয়েছে। সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা বাধ্য। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে আমরা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আর এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
ভোটের পারসেন্ট না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটা এক ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। ইসি কেন এত সময় নিচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি টিভি চ্যানেলে উপস্থিত থেকে আমি দেখেছি ফেনীর একটি ভোটকেন্দ্রে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৫০ ভোট পড়েছে। আর এক ঘণ্টার মধ্যে বিকেল ৪টায় দেখা গেছে সেখানে ১৩০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। অর্থাৎ এক ঘণ্টায় প্রায় ১১০০ ভোট কাস্ট হয়েছে।
বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই নির্বাচন হয়ে গেছে, এটা ধরে নিয়ে বিরোধী দলের কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কঠোরহস্তে দমন করবেন। রাজনৈতিক সমস্যা কোনো দিন বল প্রয়োগ করে সমাধান করা সম্ভব নয়। প্রধামমন্ত্রীর এই বক্তব্য বুমেরং হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সঠিক ব্যক্তিদের ইসিতে নিয়োগ দিলে তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারতেন। এ ছাড়া বর্তমান সঙ্কটে নাগরিক সমাজও তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেয়ার করুন