গোপন কোড ভাঙতে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন চেষ্টা ফাঁস

0
154
Print Friendly, PDF & Email

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) এবার গোপন কোড ভাঙতে সক্ষম কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মূলত ব্যাংকের তথ্য ও ই-মেলের মতো বিষয় এনক্রিপ্ট করা হয়, যা ভাঙার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে এনএসএ৷ ওয়াশিংটন পোস্ট মূলত এনএসএ কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা বিভিন্ন নথি যাচাই করে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কথা জানতে পেরেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, যে কোয়ান্টাম কম্পিউটারটি তৈরি করা হচ্ছে, সেটি ব্যবহার করে মূলত অনলাইনে এনক্রিপ্ট করে রাখা সুরক্ষিত স্বাস্থ্য, ব্যাংক, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিভিন্ন দেশের সরকারি তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এনক্রিপ্টেড কোড সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহার করে ভাঙতে গেলে কয়েক লাখ বছর লেগে যেতে পারে৷ কিন্তু এনএসএ-র কোয়ান্টাম কম্পিউটার এনক্রিপ্টেড কোড ভেঙে যেকোন তথ্য দ্রুত উদ্ধারে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সাধারণ কম্পিউটারের চেয়ে অনেক দ্রুত গতির কম্পিউটার তৈরির এই গবেষণার পেছনে বিপুল অর্থ খরচ করা হচ্ছে৷ এনএসএ-র ৭৯ দশমিক সাত মিলিয়ন ইউরোর ‘কঠিন লক্ষ্যে আঘাত’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে৷ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজ্ঞানী সম্প্রদায়ের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির সুযোগ খুঁজছেন৷ এই কম্পিউটার একসঙ্গে অনেক হিসাব কষতে পারবে, সাধারণ কম্পিউটারে যা সম্ভব নয়৷ আর বিজ্ঞানীদের এড়িয়ে এনএসএ-র পক্ষে এমন কম্পিউটার তৈরি সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন এক বিশেষজ্ঞ। এদিকে, সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত ফোন এবং ই-মেলের উপর জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার নজরদারির বৈধতা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে৷ স্নোডেন বিষয়টি সবার নজরে আনার পরে বিপাকেই পড়েছে ওবামা প্রশাসন৷ গত সপ্তাহে মার্কিন এক আদালত অবশ্য রায় দিয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের ‘মেটাডাটা’ সংগ্রহ করে এনএসএ অবৈধ কিছু করেনি৷ ‘মেটাডাটা’ বলতে একজন মানুষ কবে, কখন, কোথায় কোন নম্বরে ফোন করেছেন কিংবা কোথায় ই-মেল করেছেন সেসব তথ্য বোঝায়৷

শেয়ার করুন