নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার আগেই ‘সংবাদমাধ্যমের’ বরাত দিয়ে নির্বাচনে ৪০ ভাগ ভোট পড়েছে এবং তা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিক থেকে নিজের ফেসবুক ফ্যান পেইজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে জয় এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
সংবাদমাধ্যমগুলো যে রিপোর্ট প্রকাশ করছে তাতে ভোটাদের ভোটদানের হার এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০% বলছে, যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ৪-৫ টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত পুরো দুটি জেলায়, ভোটাদের ভোটদানের হার ছিলো ৫১%।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায় ভোটাদের ভোটদানের হার ছিলো ৯৬%। ভোট গণনা চলছে তাই আমরা চূড়ান্ত ও আনুষ্ঠানিক সংখ্যাটি পাইনি, কিন্তু যেসব কেন্দ্রে বেশি ভোটদান হয় সেসব কেন্দ্রে ভোট গণনাতে বেশি সময় লাগে তাই ফলাফল দেরিতে আসে। এজন্যই ভোটাদের ভোটদানের হারটি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাংলাদেশের সব জাতীয় নির্বাচনের গড় ভোটাদের ভোটদানের হার ৬০% এর নিচে।
বিএনপি-জামায়াত তাদের হামলা অব্যহত রেখেছে। তারা কিছু ভোটকেন্দ্র ও নিরীহ নাগরিকদের গায়ে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা একজন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এবং অন্য একজনের হাতগুলো ভেঙে দিয়েছে। তারা আমাদের দলের কিছু নির্বাচনী কর্মী ও ভোটারদের তাদের ভোটদানের পর ছুরিকাঘাত করেছে এবং তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
সৌভাগ্যজনকভাবে, সরকার প্রায় সব জায়গায় সহিংসতা প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে। ১৮০০০ এর মাঝে মাত্র ১৬০ বা তার কাছাকাছি ভোটকেন্দ্র আক্রান্ত হয়েছে যা প্রায় ০.৮%।
আনুমানিক ১০,০০০ স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক, কিছু (চারজন) দক্ষিণ এশিয়ান নির্বাচন পর্যবেক্ষক, ২০ বা তার কাছাকাছি টিভি চ্যানেল, অগণিত সংবাদপত্র এই নির্বাচন নিরীক্ষণ করেছে। কোনো ধরনের নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে বলে রিপোর্ট হয়নি।
হামলার ভয়ে দিনের শুরুর দিকে ভোটাদের ভোটদানের হার ধীর ছিলো। আমার কোনো সন্দেহ নাই যে, বিএনপি-জামায়াত তাদের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে না গেলে ভোটাদের ভোটদানের হার ৫০% ছাড়িয়ে যেতে পারতো।
আমি সেইসব ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা সেই চেতনাকে ধারণ করে বের হয়ে এসেছেন এবং ভোট দিয়েছেন। আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে সন্ত্রাস এবং মৌলবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
আমি আমার আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতা এবং কর্মীদের ধন্যবাদ দিতে চাই। এটা ছিলো সন্ত্রাসের মুখে তাদের অসাধারণ সংগ্রাম।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,
জয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ!