বগুড়ার ১০টি ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এসব কেন্দ্রের সকল ফোর্স প্রত্যাহার করে থানায় অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এসব কেন্দ্রে সকাল নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গাবতলীর চারটি ভোটকেন্দ্র দখল করে রেখেছে স্থানীয় জনতা। এসব কেন্দ্রের সকল ফোর্স থানায় আশ্রয় নিয়েছে।
বগুড়া ৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) আসনে ৮৮ ভোট ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০টায় ছয় ভোট কেন্দ্রের ব্যালট ও বাক্স ছিনতাই, তিনটি ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ ও একটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার কারণে ব্যালট ও বাক্স থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একটি কেন্দ্র অবরুদ্ধ করে রেখেছে ১৮ দলের কর্মীরা।
সকাল ১০টা পর্যন্ত অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দেখা য়ায়নি।
গাবতলীর প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, সকালে রামেশ্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুসুম কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুভপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালট ও বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও নাড়ুয়ামালা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রথমস্যাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ জিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব কেন্দ্রে তখন থেকেই ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে গাবতলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট ও বাক্স থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া সাঘাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র,মীরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদলা এবং শহীদ জিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে রেখেছে ১৮ দলের কর্মীরা।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকতা জানান, যে ব ভোটকেন্দ্রে ব্যালট ছিনতেই ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে এবং ঝুঁকিপৃর্ণ দেখা দিয়েছে সেখান থেকে ফোর্স সরিয়ে থানায় অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কর্মকতা।
গাবতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মুনিরা সুলতানা জানান, “এ মুর্হুতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সমায় নাই। ভোট নিয়ে আমরা খুব ঝামেলায় আছি।”