উত্তাল দেশ। জ্বলছে আগুন। বন্ধ গণতন্ত্রের কপাট। মানুষ মরছে, সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে সারাদেশে। পুড়ছে গাড়ী অগ্নিদগ্ধ হচ্ছে মানুষ। অথচ নির্বাচন কমিশন যেন বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের অফিসের চিত্র দেখলে সেটাই মনে হবে। যে কেউ দেখলে বলবেন হয়তো বিয়ে বাড়ির এটা। গোটা নির্বাচন কমিশন এলাকা বিয়ে বাড়ির সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।
কাল পাতানো ভোট। বহুল আলোচিত-সমালোচিত দশম জাতীয় এ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশী পর্যবেক্ষক, ভোটার এমনকি প্রার্থীদের মধ্যে আগ্রহ না থাকলেও কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের দারুণ আগ্রহ। দেশের চরম সহিংসতায় তার চোখে পড়ছে না। বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে তিনি দেশবাসীকে জানিয়েছেন পরিস্থিতি ভোটের অনুকুলে।
পাতানো নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অবরোধ চলছে। বিরোধী দল ৪৮ ঘন্টা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। অথচ প্রধান বিরোধীদল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন দেখে তা বোঝার উপায় নেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি গুছিয়ে নিতে চারিদিকে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারো হাতে যেন নষ্ট করার মতো একটি সেকেন্ডও সময় নেই।
নির্বাচন কমিশন প্রাঙ্গণে টানানো হয়েছে বিশেষ ধরনের শামিয়ানা। করা হচ্ছে আলোকসজ্জা। রাত হলেই নির্বাচন কমিশন প্রাঙ্গণ রঙিন হয়ে উঠে নানা রঙের আলোয়। এবার ডেকোরেশনের দায়িত্ব পেয়েছে ভোলা ডেকোরেশন। কথা হয় ভোলা ডেকোরেশনের মালিক ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শামিয়ানা টানোনো হচ্ছে। লাইটিং-এর ব্যবস্থাও থাকবে। সোমবার পর্যন্ত থাকবে এ সাজসজ্জা। নিজের কাজে ডুবে ছিলেন ডেকোরেশন কর্মী হাবিবুর রহমান। রোববার নির্বাচন নিয়ে তিনি কতটা ব্যস্ত খুব অল্প কথায় তিনি বুঝিয়ে দিলেন। বললেন, ভাই বেশি কথা বলতে পারবো না। হাতে অনেক কাজ। আজকের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। তবে সাধারণ মানুষ নির্বাচন কমিশনে বিয়ে বাড়ির মতো শামিয়ানা-আলোকসজ্জা দেখে সিইসিকে গালিগালাজ করছেন। একজন বললেন, সরকারের আজ্ঞাবহ শুধু নয়, কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ সরকারের দাসদাসীর মতো হুকুম তালিম করছেন। দেশ জ্বলছে অথচ সিইসির চোখে সেগুলো পড়ছে না। তিনি যেন বিয়ে বাড়ি মজা উপভোগ করছেন।