যোগাযোগের জন্য সোশাল নেটওয়ার্ক ফেসবুককে নিরাপদ হিসেবে বিশ্বাস করা হলেও বাস্তবে তা নয়। যুক্তরাষ্ট্রে এক মামলার ফলে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যে, ফেসবুকের ম্যাসেজ নিরাপদভাবে অন্যের কাছে বার্তা পৌঁছানোর উপায় বলে মনে করা হলেও বাস্তবতা তা থেকে ভিন্ন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সম্প্রতি অভিযোগ করা হয়েছে, ‘ফেসবুক গ্রাহকদের ভুল বোঝায় যে, তাদের ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকরা নিরাপদ ও ব্যক্তিগভাবে পরস্পর যোগাযোগ করতে পারে। কিন্তু ফেসবুকের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রাহকরা তথ্য সংগ্রহ করে। এগুলো পরে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে তারা।’ ফেসবুকের ব্যবহারকারী ম্যাথিউ ক্যাম্পবেল ও মাইকেল হার্লে অভিযোগটি করেছেন।
এক প্রতিবেদনে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, সম্প্রতি একদল শেয়ারহোল্ডারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এ অভিযোগের তীর আসে ফেসবুকের দিকে। অভিযোগকারীরা জানান, ফেসবুক তাদের তথ্য বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়াও বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে তথ্য বিক্রির অভিযোগ আছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
তবে ফেসবুক এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ফেসবুক কোনো ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে না।’ আরো জানানো হয়, ‘অভিযোগটি বাস্তবতাহীন এবং এর জবাব কঠোর আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে দেয়া হবে।’