একতরফা ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে র্যাব-পুলিশ পাহারায় প্রচারণা চালালেও বিপাকে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। কারণ তার ভোটযুদ্ধ করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ নেতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. অধ্যাপক আবু সাঈদের সঙ্গে।
সংস্কারপন্থী ড. অধ্যাপক আবু সাঈদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তালা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে।
ভোটের সর্বশেষ প্রস্তুতি জানতে চাইলে আবু সাঈদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমিও আওয়ামী লীগের, তবে একটু ভিন্ন। কারণ আমি স্পষ্টবাদী আওয়ামী লীগ করি। আমার এই আসনে ভোটার কেন্দ্র আসতে পারলে আমাকে হারাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে আমাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হয়েছে। নিবার্চনের আগে থেকেই আমার সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীরা ঘড়ছাড়া হয়ে আমার পক্ষে কাজ করছেন।’
আবু সাঈদ, ‘আমার এলাকার মানুষের কারণেই এই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। গত পাঁচ বছর এই এলাকার মানুষকে শোষণ করা হয়েছে। তারা অতিষ্ঠ হয়ে আমার কাছে এসেছেন, বলছেন আপনি আমাদের মাঝে আসেন।’
আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভোটারদের আসতে বাধা দেয়া হবে। তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখনই হুমকি দেয়া হচ্ছে। নেতাদের বাধা এক রকম আর পুলিশের বাধা অন্যরকম।’
অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমার বিপক্ষে যে নির্বাচন করছে সে আমার ধারেকাছেই আসতে পারবে না। আমি এ এলাকায় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছি। তার পর থেকে এই এলাকায় যত উন্নয়ন করেছি তা ইতিহাসে রেকর্ড। আমি আশাবাদী আমরা বিপুল ভোটে জিতবো।’
টুকু বলেন, ‘দলকে বিপদে ফেলে যে আনন্দ পায় তাকে দিয়ে আর যাই হোক জনগণের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর আমিতো তার কোনো নেতাকর্মী দেখছি না, সে কিভাবে নির্বাচন করবে। সে তো এলাকা থেকে বিতাড়িত।’
১৮ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করায় নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে তুমুল। টুকুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।