প্রেম ছিল মিম আর তন্ময়ের। ছিল ঘর বাঁধার স্বপ্ন। কিন্তু চাল-চুলো কিছুই ছিল না তাদের। অপরিণত এই প্রেমিকযুগলের সামনে তাই ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার সাথে যোগ হয়েছে পরিবারের চাপ। এতসব চাপ সামলাতে না পেরে জীবন থেকেই ছুটি নিতে চেয়েছিল তারা। হাত ধরাধরি করে ঝাঁপ দিয়েছিল হাতির ঝিলের জলে। তাতে প্রাণ গেল প্রেমিক তন্ময়ের। বেঁচে গিয়েও যেন জিন্দা লাশ প্রেমিকা মিম।
তন্ময়ের লাশ দেখে বিলাপ করতে করতে মিম বলছে ‘মরতে চেয়েছিলাম একসঙ্গে, ওতো আমাকে ছাড়াই চলে গেল।’ এরকম বিলাপ করতে করতে মুর্ছা যাচ্ছে মিম।’
তন্ময় ও মিম রাজধানীর প্রভাতী উচ্চ বিদ্যানিকেতনের মগবাজার শাখার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপরিণত বয়সেই এশানুল হক তন্ময় (১৬) ও শিরিনা রহমান মিম (১৫) দুজন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। পারিবারিক এই অমতের কারণে দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার মতো কঠিন সিদ্দান্ত নেন তারা।
শুক্রবার ভোরে বাসায় কাউকে না বলে দুজন দেখা করতে যান হাতিরঝিলে । দুজনের মধ্যে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা ও পারিবারিক অমত নিয়ে কথা হয়। কোনো সমাধান খুঁজে না পাওয়ায় সকাল ৬ টায় দুজন একসঙ্গে হাতিরঝিল ফ্লাইওভার থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে তারা। আশেপাশের লোকজন মিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলেও তন্ময়কে বাঁচানো যায়নি।
বাড্ডা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন এটিএন টাইমসকে জানান, ‘পারিবারিক অমতের কারণে তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তন্ময়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে।’