অবরুদ্ধ খালেদা: বিএনপি নেতাদের দৌড়ঝাঁপ

0
91
Print Friendly, PDF & Email

বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কি গৃহবন্দি? নাকি তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে-এ নিযে নানামুখী বক্তব্য বাজারে চালু রয়েছে।সরকার বলছে বিরোধীদলীয়দলীয় নেতার নিরাপত্তার জন্যই তার বাড়ির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছে বিরোধীদলীয় নেতাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে।এ অবস্থায় খালেদাকে মুক্ত করতে বৃহস্পতিবার থেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বিএনপির সাংসদরা। এরই অংশ হিসাবে আজ বিকালে তারা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জানান, বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় নিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি থেকে মুক্ত করার জন্যই মূলত নেতারা দৌঁড়জাপ শুরু করেছেন। বিরোধী দলের চিপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিএনপির একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে তার কাছে খালেদা জিয়ার অবস্থান ব্যাখ্যা করে কিছু দাবিদাওয়া উল্লেখ করে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।স্মারকলিপিতে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করার দাবিও ছিল। এর পরপরই তারা রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকার চেয়েছেন। সে অনুযায়ী তারা আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন।

স্পিকার তাদেরকে আশ্বাস দেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। পরে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর সাথে টেলিফোনে খালেদা জিয়ার বিষয়ে কথাও বলেন।

টুকু স্পিকারকে জানান, খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন। খালেদার নিরাপত্তার বিষয়টি রাষ্ট্রের একটা দায়িত্ব। এজন্য তাঁকে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্পিকার খালেদা জিয়ার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রধান হাসান মাহমুদ খন্দকারের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

পুলিশ প্রধান স্পিকারকে বলেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্যই তার বাড়ির আশপাশ শঙ্কামুক্ত রাখা দরকার। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি।

স্পিকার পুলিশ প্রধানের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছেন। নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে খালেদা জিয়াকে যেন কোনো প্রকার বাধার সম্মুখিন না হতে হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য স্পিকার পুলিশ প্রধানকে অনুরোধ করেন।

গত ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে মূলত খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এরপর থেকে তাঁকে কোনো পারিবারিক বা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না।

‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ ঘোষণার পর খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে ৬ থেকে ৮ প্লাটুন পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। এমনকি বালুভর্তি ৫টি ট্রাক রেখে তাঁর বাড়ির রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে ৩টি ট্রাক সরিয়ে নেয়া হয়।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য আটক করা হয়েছিল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। গ্রেপ্তারের সাত ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। শিশু একাডেমির একটি শিশু প্রতিনিধি দল খালেদার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদেরও ফিরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শেয়ার করুন