ভোটারবিহীন নির্বাচন করে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক।
তিনি অবিলম্বে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশানের নিজ বাসভবনে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের দ্বিতীয় দিন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওসমান ফারুক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতাকে অবরুদ্ধ করে সরকার প্রমাণ করেছে দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) অবরুদ্ধ করে এবং জনগণকে নির্যাতন করে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা বন্ধ করা যাবে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতোমধ্যে তাদের অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর একগুয়েমি পথ থেকে সরে আসছে না।
‘যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন পলিসি নামক একটি সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে এমন দশটি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে’ যোগ করেন তিনি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে ওসমান ফারুক বলেন, ‘এখনও সময় আছে প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করুন। সংকট সমাধানে সংলাপের উদ্যোগ নিন। আপনারা এবং আজ্ঞাবাহ নির্বাচন কমিশন পরিকল্পিতভাবে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। জনগণ এই নির্বাচন মানবে না, তারা ভোট দিতে যাবে না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আন্দোলন করে। বাইরের কোন দেশ কী বললো, তাতে কিছু যায় আসে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সংঘাত চাই না। যে সব সহিংসতা হচ্ছে তা সরকার ও তার এজেন্টরা করছে। কোথাও কোথাও সরকারের বাধার কারণে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে পারছে না।’
‘বিএনপি নেত্রী অবরোধ ডেকে বাসায় বসে মুরগির সুপ খান’ রাজধানীর এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ জানতে চায়, বেগম জিয়ার বাসার সামনে কেন বালু ভর্তি ট্রাক আনা হয়েছে? পুলিশি কেন তাকে বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না?’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।