জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ডাকা অবরোধ ভোটে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আশা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। বলেছেন, বরং এই কর্মসূচি ভোটের জন্য সহায়ক হতে পারে।
ভোটের তিনদিন আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে দেখা করার পর বঙ্গভবনের গেইটে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি। বেলা সোয়া তিনটা থেকে সিইসির নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সাথে এক ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেন। এরপর বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি।
সিইসি জানান, ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন তারা। তিনি বলেন, ভোটের আগে এবং পরে আইন শৃঙ্খলা নিয়েই কথা হয়েছে বেশি।
বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভোটের জন্য উপযোগী কি না-জানতে চাইলে সিইসি বলেন, কদিন আগে পরিস্থিতি খারাপ থাকলেও সরকার ব্যবস্থা নেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অনেককে আটক করা হয়েছে, উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রও। আগামী তিনদিনে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলেও আশা করেন সিইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেন, তারা ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসবেন বলেও আশা করেন সিইসি।
অবরোধের কারণে ৫ জানুয়ারির ভোট নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না, জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অবরোধের কারণে তো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যাবে না। কিন্তু ভোট হবে এলাকায়। এদিক বরং আমরাই গাড়ি বন্ধ করতে বলি। তাই স্থানীয় পর্যায়ে অবরোধ কোনো সমস্যা হবে বলে আমরা আশা করি। তারপরও আশা করবো সবাই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে। আমরা বলতে পারি, ভোট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে’।
বিরোধীদলবিহীন এই নির্বাচন কি চেয়েছিলেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। ১৯ অক্টোবর আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে সাক্ষাৎ করেছিলাম। পরদিন তফসিল ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু আমরা সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত পা্ইনি, তাই ছয়দিন অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে তফসিল ঘোষণা করতে হয়েছে। এরপরও বিভিন্ন মহলের উদ্যোগ হয়েছে। আমার মনে আশা ছিল সমঝোতা হবে। কিন্ত হয়নি। আমাদের আইনি ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সমঝোতা হলে অনেক কিছু করা যেতো। যেহেতু হয়নি, আমাদেরকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হয়েছে’।
কাজী রকিবউদ্দীন জানান, ভোটের পরও দরকার পড়লে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকায় মোতায়েন থাকবে। তিনি বলেন, ভোটের আগের পাশাপাশি পরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতেও চেষ্টা করবে নির্বাচন কমিশন।