টানা এক মাস সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে অবস্থান নিয়ে শেখা হাসিনাকে বিদায় জানানোর আহবান জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, আইনজীবীরা এক মাস অনশন কর্মসূচি পালন করলে হাসিনা থাকতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী সমিতির প্রতীকী অনশনে সংহতি জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকে যে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন, তা একদিনের জন্য করলে তামাশা ছাড়া কিছুই হবে না।’
কাদের সিদ্দিকী জোর দিয়ে বলেন, ‘আইনজীবীরা এক মাস অবস্থান করলে এই হাসিনা সরকার আর টিকে থাকতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী সমর্থকরা মহিলা আইনজীবীদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে, তা আমার জীবনে আমি দেখিনি।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘হলফনামায় প্রকাশিত এত বড় দুর্নীতি দেখেও দুর্নীতি কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এই কমিশনের পক্ষে আর দুর্নীতি দমন করা সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাহিরাগতরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ফটক খুলে যে হামলা চালিয়েছে, তা ভূ-ভারতে বিরল ঘটনা।’
‘খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ এখনো পরিষ্কার করেনি। এ সরকার তার প্রয়োজনে সবই করতে পারে।’ যোগ করেন কৃশক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি।
গণঅনশনে সংহতি প্রকাশ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমীন গাজীসহ সাংবাদিক নেতারা।
এছাড়া প্রতীকী অনশনে আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন- বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এজে মোহাম্মদ আলী, সাবেক সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ শতাধিক আইনজীবী।