৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দশম জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচন স্থগিত করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন ১০০১ জন সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ বর্তমানে মহাসংকটের কবলে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান এই সংকট কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। দেশের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীন।”
সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, “ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের শরিক গুটিকয়েক দল ছাড়া সব রাজনৈতিক দল ও জোট, পেশাজীবী সংগঠন ও বিশিষ্ট নাগরিকরা একতরফা নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সরকার তার অবস্থানে অনঢ় থেকে একতরফা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে মরিয়া।”
১৫৩টি আসনে ভোট গ্রহণ ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “বাকি ১৪৬ আসনেও একরকম প্রার্থীবিহীন লোক দেখানো নির্বাচন হচ্ছে, যা কখনোই বৈধতা দাবি করতে পারে না। এতে ভবিষ্যতে নির্বাচন-প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে এবং দেশের গণতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি একদলীয় সরকার কায়েম হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে সাংবাদিকরা জানান, একতরফা নির্বাচনের বিষয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক মহল। তারা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে। এর পরও একতরফা নির্বাচন হলে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের অর্থনীতি, কূটনীতি, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন রিয়াজউদ্দিন আহমদ, আবুল আসাদ, আলমগীর মহিউদ্দিন, আমানুল্লাহ কবীর, মাহফুজ উল্লাহ, সাদেক খান, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, কামাল উদ্দিন সবুজ, আবদুল হাই শিকদার, খোন্দকার মনিরুল আলম, আল মুজাহিদী, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, মোবায়েদুর রহমান, আবদুল বাতেন, সৈয়দ আবদাল আহমদ, মোস্তফা কামাল মজমুদার, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এম এ আজিজ, মুনশি আবদুল মান্নান, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, আবদুস শহিদ, সরদার ফরিদ আহমদ, আমিনুল রহমান সরকার, কাজী রওনাক হোসেন, বখতিয়ার রানা, কাদের গণি চৌধুরী, বদিউল আলম, মাহমুদ শফিক, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ইলিয়াস খান, কেজি মোস্তফা, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নূরুল হুদা, কবি হাসান হাফিজ, নূরুদ্দিন আহমেদ, শান্তা মারিয়া, সাজ্জাদ হোসেন খান, নূরুল আমিন রোকন, সাজ্জাদ কাদির, এম. আবদুল্লাহ, আবু সালেহ, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, সৈয়দ লুৎফুল হক, আমিরুল ইসলাম কাগজী, এরশাদ মজুমদার, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, মো. মোদাব্বের হোসেন, হাসনাত করিম পিন্টু, আনওয়ারুল কবীর বুলু, সৈয়দ আলী আসফার, জাহেদ চৌধুরী, মাসুমুর রহমান খলিলী, সালাহ উদ্দিন মো. বাবর, আযম মীর, মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, খুরশিদ আলম, সুলতান মাহমুদ বাদল, আকন আবদুল মান্নান, রফিক মোহাম্মদ, এম এ নোমান, শরীফ আবদুল গোফরান, সালাউদ্দিন আহমদ বাবর, মীর আহমেদ মীরু, শাহজাহান সাজু, জাহিদুল ইসলাম রণি, এরফানুল হক নাহিদ, খন্দকার আলমগীর, শওকত রেজা, প্রত্যয় চৌধুরী, বাছির জামাল, শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ আকরাম, উমর ফারুক আল হাদী, হাসান শরীফ, শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম মানিক, ইমরান আনসারী, হারুণ জামিল, মাঈনুদ্দিন আহমেদ, শাহীন হাসনাত, আবদুস সেলিম, দিদারুল আলম, বসির আহমেদ, এ কে এম মহসীন, শাহীন রাজা, শামসুদ্দিন হারুন, ওবায়দুর রহমান শাহীন, আবু ইউসুফ, নাসির আল মামুন, আনোয়ার কবির নান্টু, মহসীন আলী রাজু, শামসুল হক হায়দারী, সৈয়দ শাহজাহান, কামার ফরিদ, মহিদুল ইসলাম মিন্টু, মীর্জা সেলিম রেজা, শাহ নেওয়াজ, এস এম এ কাদের, সরদার এম আনিসুর রহমান, মোঃ আনিসুজ্জামান, হাসান আহমেদ মোল্লা, সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, নূর ইসলাম, বদিউল আলম, জিএম আশেক উল্লাহ প্রমুখ।