প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাকরি জাতীয়করণের এক বছর পরও নাটোরের ২৮৭ টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ শ’ ৩৬ জন শিক্ষক সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা পাননি। উল্টো বন্ধ হয়ে গেছে আগের বেতনও। গত চার মাস ধরে তারা বেসরকারি হিসেবে পাওয়া আগের বেতনও পাচ্ছেন না। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সীমাহীন কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২৮৭টি রেজষ্ট্রিার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১১শ ৩৬ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। গত ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় শিক্ষক মহাসমাবেশে সারা দেশের রেজিষ্টার্ড ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি তিন ধাপে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। তার মধ্যে প্রথম ধাপে নাটোরের এ বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় আসে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, জাতীয়করণের ঘোষণার আগে তারা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের বেতন-ভাতা তুলতেন। এ ঘোষণার পর সেই বেতনও অনিয়মিত হয়ে পড়ে। সর্বশেষ গত আগস্ট মাসের বেতন পেয়েছেন তারা। বর্তমানে তাদের সেপ্টেম্বর থেকে চার মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এমনকি সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা ১০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা পেলেও তারা সেটাও পাননি।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম উপজেলা রেজিঃ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম বলেন, জাতীয়করণে আমরা খুশী। তবে বর্তমানে বেতন না পাওয়ায় আমরা খুব কষ্টে আছি। সরকারি হিসেবে বেতনভূক্ত না হওয়া পর্যন্ত আগে আমরা যে বেতন-ভাতা পেতাম তাও এখন পাচ্ছি না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম বলেন, ইতোমধ্যে স্কুল ও শিক্ষকরা সরকারি গেজেটভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু ট্রেজারির মাধ্যমে বেতন পাওয়াটা এখনও চালু হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ায় তারা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে অল্পদিনের মধ্যেই বেতন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।