বুধবার ‘আনসার্টেইনটি ইন বাংলাদেশ (বাংলাদেশে অনিশ্চয়তা)’ শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এই মন্তব্য করা হয়।
বাংলাদেশের চলমান সংকটের কথা উল্লেখ করে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘এই সংকট ভারতের বাংলাদেশ নীতির প্রতি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।’
এতে বলা হয়, এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, নয়াদিল্লির ঢাকার সাথে সম্পর্কের বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ভারতের বিদেশনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে এবং বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্য থেকে দেখলে গত ৫ বছরের চেয়ে ভালো সম্পর্ক আর কখনোই ছিল না।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামী উগ্রপন্থা এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এই সমীকরণের ফলে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী জনমত অবিশ্বাস্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। কারণ ঢাকা যেভাবে ছাড় দিয়েছে নয়াদিল্লি সেভাবে কিছুই করেনি, যেমন বাস্তবায়বান করেনি তিস্তা চুক্তি’ এতে যোগ করা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘ভারত অন্তত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পরামর্শ দিতে পারত যে, তিনি যেন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কম-বেপারোয় অবস্থান গ্রহণ করেন। কিন্তু ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে।’
এতে আশঙ্কা করা হয়, ‘নির্বাচন-উত্তর বাংলাদেশ আরো অস্থিতিশীলতার দিকে ধাবিত হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সমস্যাসংকুল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে (বাংলাদেশে) যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তার সাথে সম্পর্ক রক্ষা দিল্লির জন্য আরো জটিল হয়ে পড়বে।’
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কার্যত গৃহবন্দী। আরেকজন রাজনীতিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ ক্ষমতাসীন জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরীক। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর তাকে কমান্ডোরা ধরে নিয়ে গিয়ে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’
‘ফলে এই নির্বাচনে বড় দলের মধ্যে শুধু আওয়ামী লীগই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জামায়াতকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৩০০ আসনের সংসদে অর্ধেকেরও বেশি আসনে জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন দল নিশ্চিতভাবেই জয়ী হতে যাচ্ছে। কিন্তু এ ধরণের জরাজীর্ণ নির্বাচনে বিজয় সেই রকম বৈধতার ধারেকাছেও যেতে পারবে না যেটি আওয়ামী পেয়েছিল ২০০৮ সালের জয়ের পর’ যোগ করা হয়।
দি হিন্দুর মুল প্রতিবেদন দেখুন, এখানে
click here
http://www.thehindu.com/opinion/editorial/uncertainty-in-bangladesh/article5523650.ece