নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যে আশান্তির অবতারানা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত সিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এর আগে অবশ্য সীমান্তের অরক্ষিত এলাকাগুলো সিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সঙ্গে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে মানবিক কারণে শরণার্থী এপারে এলে তাদের পুশব্যাক না করতে বিএসএফকি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বরং সীন্তের কাছেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করে পরিস্থিতি বুঝে তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সুরক্ষা বাহিনীর তাড়া খেয়ে মৌলবাদী ও দুষ্কৃতিরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কলকাতায় এসে ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের প্রধান জিএমপি রেড্ডি এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দা-কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ চার ঘন্টা ধরে বৈঠক করেন। বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে পুরো পরিস্থিতি তাকেও জানিয়ে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং জঙ্গী সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছিল বাংলাদেশের উ™ভুত পরিস্থিতি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ভারতের এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের কোনও ইচ্ছে নেই। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় এক দেশের ঘটনাপ্রবাহ অন্য দেশেও প্রভাব ফেলে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে উত্তরবঙ্গে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণ সবই আলোচনা হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কী কথা হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাতে চাননি।