বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৭ দিন যাবত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া নির্বাচন প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে ২৯ ডিসেম্বর ‘ঢাকামুখী অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বলতে গেলে তিনি অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
এর আগে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর অবরোধের ডাক দেয় ১৮ দল। সংঘাতময় পাঁচ দফা অবরোধে প্রায় একশ’ মানুষ নিহত হয়।
তবে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ‘ঢাকামুখী অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য বাসভবন থেকে বের হতে পারেননি। এমনকি পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় রাজপথে নামতে পারেনি কর্মীরাও।
২৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া তার গুলশানস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। তারপর ২৬ ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত পুলিশি বাধায় বাসভবন থেকে বের হতে পারেননি। রাজধানীর গুলশানে তার বাসার সামনে পুলিশের উপস্থিতির সংখ্যা কমানো হলেও নজরদারি রয়েছে আগের মতোই। বাসার সামনে এখনো রয়েছে বালুভর্তি ট্রাকের ব্যারিকেড। রাস্তার পাশে রয়েছে জলকামান। মোতায়েন আছে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা।
এমনি পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা। এ সময় খালেদা জিয়ার দুই উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, পুলিশের সংখ্যা কিছুটা কমানো হয়েছে। কিন্তু নজরদারি রয়েছে আগের মতোই। তাই দলীয় নেতাকর্মী বা অন্য কেউ বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসায় প্রবেশ করতে পারেননি।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে যেভাবে বাসভবন থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না, তেমনি তার রাজনৈতিক কার্যালয় এবং বিএনপির নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গত ৩০ নভেম্বর ভোরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে দলীয় কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর তখন থেকেই নয়া পল্টন কার্যালয় মূলত অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার রাতে দলীয় এক বিৃবতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,“বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাসভবনে বেশ কয়েকদিন ধরে আটক রাখা হয়েছে। যার প্রমাণ তাকে মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগ দিতে না দেওয়া।