পাঁচ মাসে এডিপির বাস্তবায়ন মাত্র ২০%

0
161
Print Friendly, PDF & Email

চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ২০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। আর খরচের দিক থেকেও ৪১৮ কোটি টাকা কম।
গতকাল সোমবার পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এডিপি বাস্তবায়নের সর্বশেষ চিত্র প্রকাশ করেছে।
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, বিগত জুলাই-নভেম্বর মাসে এডিপির মোট ১৩ হাজার ১৫৬ কোটি খরচ হয়েছে। এর মধ্যে দেশজ উৎস থেকে জোগান দেওয়া হয়েছে আট হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ২২ শতাংশ। আর বিদেশি সহায়তার খরচ হয়েছে চার হাজার ১৭১ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১৭ শতাংশ।
২০১২-১৩ অর্থবছরের একই সময়ে ১৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরে ৭৩ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকার এডিপি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকার প্রকল্প সরাসরি আইএমইডি তদারকি করে। আর বাকি টাকার প্রকল্পগুলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের। এডিপিতে দেশজ উৎস থেকে ৪১ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা আর বিদেশি সহায়তা হিসেবে ২৪ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে। এডিপিতে মোট এক হাজার ২৮৩টি প্রকল্প রয়েছে।
কয়েক বছর ধরে দাতাদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রভাব পড়েছে বিদেশি সহায়তা প্রাপ্তিতে। গত বছরের মতো এবার আর বিদেশি সহায়তার প্রবাহ নেই। আলোচ্য সময়ে চার হাজার ১৭১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত অর্থবছরের এডিপিতে একই সময়ে চার হাজার ৪৭৩ কোটি
টাকা খরচ হয়েছিল। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপিতে একই সময়ে ছিল দুই হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের বরাদ্দের কোনো টাকা খরচ করতে পারেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ২৪ কোটি টাকা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে এক কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।
এ ছাড়া পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বরাদ্দের ১০ শতাংশের কম অর্থ খরচ করতে পেরেছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, সরকারি কর্মকমিশন, আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ।
এদিকে বরাদ্দপ্রাপ্ত শীর্ষ ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনূকূলে চলতি এডিপির ৫৪ হাজার ৪৮৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা রয়েছে, যা মোট মূল এডিপির ৭৪ শতাংশ। জুলাই-নভেম্বর সময়ে এসব মন্ত্রণালয় মাত্র ১০ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা খরচ করেছে, যা বরাদ্দের ১৯ শতাংশ।

শেয়ার করুন