ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা ১০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানস্থ বাসভবন ফিরোজায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে বিকাল ৪.৩০ টায় তিনি ফিরোজা ত্যাগ করেন। বৈঠক শেষে ড্যান মজিনা চলে যাওয়ার পর একটি বিজ্ঞপ্তি সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান।
এতে বলা হয়, ড্যান মজিনা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্ট, প্রেসক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার সংঘটিত ঘটনাবলি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ এগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থি এবং কোনোভাবেই যেন এ ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
মজিনা আরো বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খোঁজা আরো জরুরি হয়ে পড়েছে।”
বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দীন আহমেদ ও রিয়াজ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যটি পুরোপুরি পরিবর্তন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
“আমি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি।
সরকারের দায়িত্ব বিরোধীদলকে স্বাধীনভাবে নিজ মতামত প্রকাশ করা সুযোগ প্রদান এবঙ বিরোধীদলের দায়িত্ব এই সুযোগ শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা। সুপ্রিম কোর্ট প্রেসক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার সংঘটিত ঘটনাবলি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ এগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থি এবং কোনভাবেই এ ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেটা নিয়ে আমি বেগম জিয়ার সাথে কথা বলেছি।”
“সকলদলকে সহিংসতা বর্জন করার জন্য আমাদের আহ্বান আমি পণরায় ব্যাক্ত করি। কারণ সহিংসত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়। এটা অগ্রহণযোগ এবং এটা এখানই থামাতে হবে। দলগুলোর এখনি সংলাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের জনগনের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খোঁজা আরো জরুরি হয়ে পরেছে। সেটা আমি গুরুত্বারোপ করি। সম্প্রতি উর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দের ব্যাপক গ্রেপ্তারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করি। আমি বলি যে যারা নিজ গণতান্ত্রিক অধিকার শান্তিপূর্ণভাবে চর্চা করতে চায় তাদের ওপর এ বিষয়টি ভীতিমূলক প্রভাব ফেলে এবং দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যত সংলাপের সাফল্যের ক্ষেত্রে এই উধ্বতন রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডাব্লিউ গিবসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেন । তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশনার ও বিএনপির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কিছুই জানানো হয়নি। বৈঠক সম্পর্কে শমসের মুবিন ব্রিফিং করবেন বলে সাংবাদিকেরা সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বের হওয়ার পরেই ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। পরে রাত ১টায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।