২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী জঙ্গি গোষ্ঠীর সুপ্রিমকোর্ট তান্ডবে কিছুটা সেইম সাইড হয়ে গেছে। যেই নারী আইনজীবীর উপর আওয়ামী জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে, সেই নারী আইনজীবী তাদেরই পরিবারের সদস্য। চিনতে না পেরে আওয়ামী জঙ্গিরা ওই নারী আইনজীবীকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে। স্যোসাল মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় তাঁর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায়ও আওয়ামী জঙ্গিদের হাত। তাঁকে চুল ধরে কিল ঘুষি দেয়া হয়। লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলা হয়। তারপরও থেমে থাকেনি তারা। কয়েকজন মিলে লাথি এবং লাটি পেটা করতে থাকে। ওই নারী আইনজীবীর নাম সিমকি ইমাম। শেখ হাসিনার উপদেস্টা এইচ টি ইমামের ভাতিজি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিমকি ইমাম বিএনপি’র জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক নেতার ঘাড়ে সাওয়ার হয়ে দলের ভেতরে ঢুকেন। তাঁর মূল কাজ ছিল বিএনপির আইনজীবী নেতাদের গতিবিধি এবং নানা বিষয়ে এইচ টি ইমামকে অবহিত করা। মূলত এক রকম ইনফরমার হিসাবে কাজ করেন সিমকি। ওই আইনজীবী নেতাকের পুরো খরচ দিয়ে একবার লন্ডনও নিয়ে এসেছিলেন সিমকি। তখন উদ্দেশ্য ছিল তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেয়া। ভবিষ্যতে তারেক রহমানের ঘনিষ্ট হিসাবে তাঁকে কাজে লাগানো। ওই আইনজীবী নেতা সিমকি ইমামকে নিয়ে বেশ কয়েকবার দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়েছেন। তখন পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে সিমকি ইমাম নিম্ন আদালতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মামলা গুলোর সার্বক্ষণিক খোজ খবর রাখেন। অথচ ওই মহিলা আইনজীবী মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মামলার বিষয়ে নিম্ন আদালতে যারা খোজ খবর রাখেন তাদের কেউ পাত্তাও দেয় না। অথচ তারাই সব সময় খোঁজ খবর রেখে চলছেন। আর চেয়ারপার্সনের কাছে সিমকি ইমামকে নিয়ে বলা হয় তিনি মামলা দেখাশোনা করছেন। এনিয়ে ঢাকা বার-এ জুনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে। অনেকেই বলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একজন নেতার ঘারে সাওয়ার হয়ে সিমকি ইমাম দলের গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গুলো সহজে জানতে পারেন। আর সেগুলো পাচার করেন এইচ টি ইমামের কাছে। এজন্যই তাঁকে ওই আইনজীবী নেতার ঘনিষ্ট হিসাবে মেলামেশা করার জন্য নিয়োগ করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। ২৯ ডিসেম্বর না চিনতে পেরে অনেকের সঙ্গে সিমকি ইমামকেও শারিরীক লাঞ্চিত করে আওয়ামী জঙ্গিরা।