স্বর্ণ ছিল ১০ ভরি হয়েছে ৮৭০ ভরি

0
136
Print Friendly, PDF & Email

গাজীপুর ও টঙ্গী নিয়ে গাজীপুর-২ আসন। এই আসনের সাংসদ জাহিদ আহসান ওরফে রাসেল। ওই আসনে অন্য প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। নির্মমভাবে খুন হওয়া সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন তিনি।
বাবার আসনে সাংসদ হওয়া জাহিদ আহসান গত পাঁচ বছরে নিজে ৫০৮ ভরি স্বর্ণ উপহার পেয়েছেন। আর তাঁর স্ত্রী পেয়েছেন ৩৬২ ভরি স্বর্ণ। নগদ অর্থে যার বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। অথচ ২০০৮ সালে তাঁর নিজের স্বর্ণ ছিল মাত্র ১০ ভরি। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
জাহিদ আহসান প্রথম আলোকে বলেন, বিয়েতে প্রায় সাত-আট হাজার মেহমান দাওয়াত করা হয়েছিল। সাংসদ হওয়ায় দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাংসদ ও মন্ত্রীরা তাঁর দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেছেন। এত লোকের আয়োজন থেকে স্বর্ণগুলো বিয়ের মেহমান আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেই এসেছে।
জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে জাহিদ আহসানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণও অনেক বেড়েছে। ৮৭০ ভরি স্বর্ণ ছাড়াও একই সময়ে তিনি ৬৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি ল্যান্ড ক্লুজার জিপের মালিক হয়েছেন। তাঁর রয়েছে আরও একটি জিপ, যার মূল্য দেখান দুই কোটি এক লাখ ৫ হাজার ৪৯০ টাকা। এই জিপটি ২০০৮ সালে হলফমানায়ও উল্লেখ ছিল। তবে গাড়িটি তিনি নিজে ব্যবহার করেন না বলে জানা গেছে। জাহিদ আহসান প্রথম আলোকে বলেন, গাড়ি দুটির মধ্যে ল্যান্ড ক্লুজার গাড়িটি তিনি নিজেই ব্যবহার করেন। আর দুই কোটি মূল্যের জিপটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি, সেটি তার কাছে নেই। তবে কোথায় আছে, সেটি তিনি বলতে চাননি।
জাহিদ আহসানের নগদ টাকা রয়েছে আট লাখ ৫৫ হাজার, ব্যাংকে জমা এক লাখ ৭০ হাজার, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ চার লাখ ৮৩ হাজার ১৬৪ টাকা। আর স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে তিন হাজার ৩০৫ টাকা ও কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা।
জাহিদ আহসানের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে উত্তরা তৃতীয় পর্বের ১৬ নম্বর সেক্টরে ১৭ নম্বর প্লট। কত কাঠার তা উল্লেখ নেই। প্লটের কিস্তি বাবদ জমা দিয়েছেন ২৩ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর নগদ অর্থ ছিল মাত্র ১৫ হাজার। ব্যাংকে জমা ছিল ৭০ হাজার। তবে কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না।
২০০৮ সালে জাহিদ আহসান আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে সুদহীন ঋণ নিয়েছিলেন দুই কোটি এক লাখ। ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

শেয়ার করুন