প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় নির্বাচনে নেই তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা।নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে আওয়ামী লীগের প্রধান চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত করা। তাই দেশে নির্বাচনী আবহাওয়া তৈরি করে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করাই এখন আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ। আর এ লক্ষ নিয়েই ইতিমধ্যেই সারা দেশে নির্বাচনী জনসভা শুরু করেছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ঢাকার তিনটি পয়েন্টে ও বৃহস্পতিবার দুটি- রাজধানীতে মোট পাঁচটি নির্বাচনী জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ভোটারদের নির্বাচনমুখী করতে এসব জনসভার আয়োজন করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে অংশ নিচ্ছেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে সোমবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এবং গণভবনে পৃথক দুটি বৈঠকে ঢাকার সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ মহানগরের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জনসভা সফল করতে ঢাকার নেতাদের প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত এক সংসদ সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবারের তিনটি নির্বাচনী জনসভা হবে বেলা ১টায় কাফরুল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, দুপুর ৩টায় পল্লবী হারুন মোল্লা ঈদগাঁ খেলার মাঠ এবং বিকাল ৪টায় উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রবীন্দ্র সরণীতে।
আজ রংপুরের পীরগঞ্জে নিজ নির্বাচনী আসন রংপুর-৬ এ নির্বাচনী জনসভায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে পীরগঞ্জের এক জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হলেও আজকের জনসভায় তিনি মায়ের সঙ্গে রংপুর যাচ্ছেন না।
এছাড়া বরাবরের মতো এবারও নির্বাচনের আগে ফলাও করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে দলটি। বিগত নির্বাচনী ইশতেহারের মতো এবারেও ইশতেহারেও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেশবাসীকে ব্যাপক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এরও মূল কারণ দেশের জনগণের যেকোনো চাওয়া পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হলেও তাদের নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা।
এদিকে নির্বাচনের আগে কোনো সহিংসতায় জড়িয়ে নির্বাচনী পবিরেশ নষ্ট করতে নারাজ দলটি। তাই বিরোধী দলের কর্মসূচি প্রতিরোধে আপাতত নতুন কোনো পরিকল্পানও নেই আওয়ামী লীগের। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আর প্রতিরোধ নয়, আর লাঠি মিছিল নয়। এখন থেকে আমরা শুধু নৌকা নিয়ে নির্বাচনী মিছিল করব।”
এছাড়া ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদের্শ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ওই জনসভায় সর্বকালের স্মরণীয় জনসমুদ্র করার টার্গেট হাতে নিয়েছে তারা।
এদিকে ভোটের আগে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ৩ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধনমন্ত্রী। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে তিনি এ ভাষণ দেবেন।