সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণনার সময় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক সংখ্যক হেজাক বাতি, হারিকেন ও মোমবাতি সরবরাহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে ইসির জারি করা এক পরিপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসির উপ-সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ স্বাক্ষরিত ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে “ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে ও ভোটগ্রহণের সময় আলোর স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তাই ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক হারিকেন, হেজাক লাইট ও মোমবাতি ইত্যাদি ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।”
তবে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারি সচিব ফরহাদ হোসেন এটিএন টাইমসকে বলেছেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভোটগণনার জন্য বা ফলাফল একত্রীকরণের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হবে।”
ইসির মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে জানাগেছে, মোট ভোটকেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক সংখ্যায় বিদ্যুৎ নেই। এজন্য প্রথমে চার্জার লাইটের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত আর এগোয়নি।
পরিপত্রে ভোটকক্ষ স্থাপন, ভোটদানে শৃঙ্খলার ব্যবস্থা ও ভোটারদের সচেতন করার বিষয়েও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিদেশনা দিয়েছে ইসি।
ভোটকক্ষঃ
একটি ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে একাধিক ভোটকক্ষ স্থাপন করা যাবে না। কেননা, এতে ভোটদানে জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তবে যদি কোনো কারণে একাধিক ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়, তবে চট, চাটাই বা অন্য কোন বস্তু দিয়ে এমনভাবে দেয়াল সৃষ্টি করতে হবে, যেন যাতায়াত বা কথার আদান-প্রদান করা না যায়।
ভোটদানের জন্য মার্র্কিং প্লেসঃ
ব্যালট পেপারের নির্ধারিত স্থানে ভোটচিহ্ন প্রদানের জন্য মার্কিং প্লেস যেখানে নির্ধারণ করা হবে, তা যেন কোনোভাবেই জানালার পাশে না হয়। আর যদি কোনো উপায় না থাকে, জানালা একেবারে বন্ধ করতে হবে। মার্কিং প্লেস এর পাশে দেয়াল, ভগ্ন দেয়াল ইত্যাদি থাকলে তা এমনভাবে বন্ধ করে দিতে হবে, যেন ভোটদানের সময় কেউ দেখতে না পারেন বা কোনো ইঙ্গিত করার সুযোগ না পায়।
ভোটারদের ক্রমিক নম্বর প্রদর্শনঃ
ভোটাররা যাতে হয়রানির শিকার না হয় এবং খুব সহজেই তাদের ভোটকেন্দ্র সনাক্ত করতে পারেন, সেজন্য ভোটগ্রহণের আগেই ভোটকেন্দ্র নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাতে হবে। এজন্য ভোটকেন্দ্রের প্রবেশ পথে ক্রমিক নম্বর সাটিয়ে দিতেও হবে।
এছাড়া যে সিল দিয়ে ব্যালট পেপারে ভোটচিহ্ন দিতে হবে, তাতে যেন কালি বেশি লেগে না যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা সামনেই অধিক কালি লেগেছে কী না পরীক্ষা করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা বেশি কালী লেগেছে কি না নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্যেক ভোটারকে পরামর্শ দেবেন।
অন্যদিকে দিনের শেষভাগে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এমন ধারণা করে কমিশন শেষ মূহুতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।