কলা অতি পরিচিত, সস্তা ও সহজলভ্য একটি ফল। তবে এর পুষ্টিগুণ মোটেও কম নয়। কলাকে বিভিন্ন রোগের প্রাকৃতিক ওষুধ বলা হয়। একটি আপেলের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, কলায় এর চারগুণ বেশি আমিষ, দুইগুণ শর্করা, তিনগুণ ফসফরাস, পাঁচগুণ ভিটামিন-এ, আয়রন, ভিটামিন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম। কলায় ট্রিপ্টোফ্যান নামক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। যারা হতাশাগ্রস্ত তাদের সেরোটোনিন লেভেল কম থাকে। কলা খেলে সেরোটোনিন লেভেল বেড়ে যায়। মন-মেজাজ ফুরফুরে থাকে ও হতাশা কেটে যায়। মেয়েদের প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের আগে যে প্রিমিনস্টর্যাল সিন্ড্রোম দেখা যায় কলা খেলে সেটা অনেকাংশে কমে যায়। কলায় ভিটামিন বি-৬ থাকে যা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে ও মুড ভালো রাখে। এ ফলটি নিয়মিত খেলে উচ্চরক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। কলায় যথেষ্ট ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। যারা মাদকাসক্ত তারা কলার সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে খেলে আসক্তি-পরবর্তী প্রভাব কমে যাবে। কলা পাকস্থলিকে কার্যক্ষম করতে সহায়তা করে। যাদের গ্যস্ট্রিক বা আলসার রয়েছে ও বুকে জ্বালাপোড়া অনুভব করেন, তাদের জন্য কলা প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসাবে কাজ করে। এটি পরিপাকতন্ত্রের অতিরিক্ত অম্লত্ব নিরসন করে। কলা অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এতে পর্যাপ্ত শক্তি বর্ধনকারী সুগার রয়েছে যা একই সঙ্গে ক্ষুধা নিবারণ করে। এ ফলটি গেঁটে বাত ও বাতের চিকিৎসায়ও বিশেষ উপকারী।