৫ জানুয়ারির নির্বাচন লোক দেখানো নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই হবে না। এ নির্বাচন কারও কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এটা জনগণের কোনো উপকারে আসবে না। বরং সংকট আরও বাড়াবে।
রোববার রাতে বেসরকারী টেলিভিশন একাত্তর এর সংবাদ সংযে গে ‘গণতন্ত্র’ এর নামে অবরুদ্ধ দেশ ভোগান্তিতে জনগণ- শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং আবু সাঈদ খান এসব কথা বলেন।
তবে তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষন করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির বলেন, নিবন্ধন বাতিলের পর জামায়াত নিজেদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ক্ষমতা হারিয়েছে। এ কারনে বিএনপিকে নির্বাচন করতে দেবে না জামায়াত। অথচ বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ আরো বলেন, সারা দেশে জনমত সৃষ্টি হয়েছে সবদলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান লংঘন করা হচ্ছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। এমন কী আওয়ামী লীগের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা নয়। যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে আবু সাঈদ খান বলেন, দুই দলের ক্ষমতার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ নিমর্মতার শিকার হচ্ছেন। সংকট উত্তোরণে সবদলের অংশগ্রহণে কেবল নির্বাচন নয়; হরতাল এবং সংসদ বজন না করার অঙ্গীকার করতে হবে। সবদলকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করতে হবে।