বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর দেশীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরাও একতরফা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
রবিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ- ইডব্লিজি একথা জানিয়েছে।
এই পর্যবেক্ষক গ্রুপের সমন্বয়ক ও জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ স্বাক্ষরিত বিৃবতিতে বলা হয়, ‘চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ অসম্ভব।’
গ্রুপ পর্যবেক্ষণ না করলেও তার প্রতিষ্ঠান জানিপপ সীমিত পরিসরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কলিমুল্লাহ বলেন, ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রস্তুত নিয়েছিল। এবার ৮০টি নির্বাচনী আসনে পর্যবেক্ষণের জন্য সংগঠনটি আসন প্রতি ১৩০ জন করে পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য প্রস্তুত নিয়েছিল। কিন্তু চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সম্ভব নয়।’
তবে তিনি বলেন, ‘এবার প্রতিটি আসনেই পর্যবেক্ষক পাঠানোরা পরিকল্পনা ছিল তার সংগঠন জানিপপের। তবে ১৫৪ আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় তিনি পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন। এখন অর্ধেকেরও কম সংখ্যক আসনে পর্যবেক্ষক পাঠাবেন।’
এদিকে, রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে নির্বাচনী ইশতেহার ‘রূপকল্প- ২০৪১’ জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি কমিশন সচিবালয়ে গিয়ে এই ইশতেহার জমা দেন।
পরে গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী আওয়ামী লীগ তার ইশতেহার নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। এতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মসূচি তুলে ধরা হয়েছে।’
এছাড়া অঅজ দুপুরে বাংলাদেশে জতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নিল ওয়াকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের এক কর্মকর্তা।