সাধারণ নির্বাচনের আর মাত্র ছ’টা দিন বাকি। নির্বাচন কমিশন চাইলে ১৮৯৭ সালের জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্ট দ্বারা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে পারে। এ জন্য তাকে সরকার বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
নির্বাচন কমিশনারদের কেউ কেউ দাবি করছেন যে, এক্ষেত্রে আইনি বাধা আছে। কারণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তনের বিধান থাকলেও পুরোপুরি বাতিলের এখতিয়ার ইসিকে দেয়া হয়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা একমত যে, আরপিও-তে এই বিধান না থাকলেও তা বাধা নেই। ২০০৭ সালেও এই প্রশ্ন উঠেছিল। তখনও বলা হয়েছিল নবম সংসদ নির্বাচনের অনেক সদস্য তো ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখন বাতিল করলে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা আইনি লড়াই চালাতে পারেন। কিন্তু সেটা টেকেনি। পুনর্গঠিত ইসি ওই অ্যাক্ট দিয়ে ২০০৭ সালের ২২শে জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বাতিল করেছিল।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের ২ দফার ক উপ-দফায় বলা আছে, ‘১৮৯৭ সালের জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্ট সংবিধান বিষয়ে কোন অ্যাক্ট অব পার্লামেন্টের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে।’
এই অ্যাক্টে বলা আছে, ‘যে ক্ষেত্রে কোন আইনে নির্দিষ্টভাবে কোন ঘোষণা বা আদেশ জারি করার বিধান আছে অথচ নির্দিষ্টভাবে তা বাতিলের বিধান নেই। সেক্ষেত্রে এই অ্যাক্ট প্রয়োগ করে তা রদ বা বাতিল করা যাবে।’