অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি দেবেন খালেদা!

0
372
Print Friendly, PDF & Email

২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে সরকারের আচরণের ওপর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে ছোট আর কোনো আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই বেগম জিয়ার। তিনি এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য অসহযোগের ডাক দেবেন বলে সূত্রে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সে আন্দোলন চলবে।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে বিরোধীদলীয় নেতার প্রটোকল সরিয়ে নেয়ার পর তার বাসভবনের দু’পাশে বালুভর্তি ট্রাক এবং পুলিশের গাড়ি দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়। এদিন তার একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব ছাড়া কোনো নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার বাসায় প্রবেশ করেতে পারেনি। রাতে শুধু সাংবাদিক নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।

খালেদার বাসা থেকে বের হয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘ম্যাডাম দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আগামীকালের সমাবেশে তিনি যাবেন। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘ব্যারিকেড দেয়া ও প্রটোকল প্রত্যাহারকে সমাবেশে বাধা দেয়ার একটি অংশ হিসেবেই মনে করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ঘোষিত মার্চ ফর ডেমোক্রেসি একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। এতে বাধা দেয়া হবে না এটাই কামনা করেন বেগম খালেদা জিয়া।’

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেগম খালেদা জিয়া সকালে নয়াপল্টনের উদ্দেশে রওনা করবেন। প্রটোকল সরিয়ে নেয়া এবং পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যেই খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। এ জন্য তিনি সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন। তবে যদি বাধা দেয়া হয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

সূত্র জানায়, ওইসময় খালেদা জিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। টানা অবরোধ বা অসহযোগের ডাকও দিতে পারেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত করে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির ওই আন্দোলনে প্রশাসনসহ সব শ্রেণীর মানুষকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানাবেন তিনি।

বেগম জিয়া বিশ্বাস করেন, আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি পূরণ হবে।

সূত্র আরো জানায়, খালেদা জিয়াকে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হলেও তিনি টেলিফোনে তৃণমূলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। এর আগের কর্মসূচিগুলো যেসব এলাকায় সফল হয়েছে ওই এলাকার নেতাদের তিনি প্রেরণা দিচ্ছেন। পাশাপাশি অন্যান্য এলাকায় আন্দোলন কেন চাঙ্গা হয়নি সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই গোটা আন্দোলন মনিটরিং করছেন খালেদা জিয়া।

এদিকে জোটের শরিক দলগুলোও চায় রোববার সমাবেশ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন খালেদা জিয়া। আর এই আন্দোলনেই সরকার পতন ঘটানো হবে বলে মনে করেন তারা।

জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলামেইলকে বলেন, ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি জোটের সমাবেশ। ওইদিন যে কোনো মূল্যে সরকার পতনের ঘণ্টা বাজানো হবে। আমরা আশা করছি ওইদিন জোটের পক্ষ থেকে সেই কর্মসূচির ঘোষণাই দেয়া হবে। কারণ জালিম এই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার আর কোনো অধিকার নেই। তারা দেশ, সংবিধান, গণতন্ত্র ও ইসলামে চরম শত্রু।’

তাই তিনি ওই সমাবেশে জোটের প্রধান খালেদা জিয়া অসহযোগ আন্দোলনসহ কঠোর কোনো কর্মসূচির ডাক আশা করছেন।

শেয়ার করুন