রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে ১৪ শিশুর মৃত্যুর খবর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।শীতজনিত রোগসহ নানা জটিলতায় এসব মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলাগুলো। কুয়াশায় দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্যের দেখা মিলছে না। হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে।
শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. কামরুজ্জামান জানান, গত এক সপ্তাহে চিকিৎসাধীন ১৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে একেবারে নবজাতক থেকে ২ বছর বয়সী পযন্ত।
এদের মধ্যে জন্মের সময় শিশু না কাঁদা, ওজন কম হওয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মারা যায় ১১ জন। এদের সকলের বয়স ১ দিন থেকে ৫দিনের মধ্যে।
বাকি তিনজনের মধ্যে নিউমোনিয়া, সংক্রমণ এবং মেনিনজাইটিসে একজন করে মারা যায় বলে তিনি জানান।
এছাড়া আরও ১০০ শিশু চিকিৎসাধীন আছে, যাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার ভাব রয়েছে, বলেন তিনি।
শুক্রবার রাতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের চূহড় গ্রামের ফরিদ আলীর ছেলে জন্মের ২ ঘণ্টা পর মারা যায়। এছাড়া রয়েছে সদরের হরিদেবপুর ইউনিয়নের পাগলাপীর গ্রামের সেলিম সর্দারের মেয়ে সুমী (১), লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আজিজুল হকের ১৩ দিনের ছেলে আদিত্য, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদরের আবুজার রহমানের মেয়ে আকলিমা খাতুন (২)।
হাতের কাছে রেজিস্টার খাতা না থাকায় মৃত সবার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আতিকুর রহমান জানান, তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ১২ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করছে। তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে আভাস দেন তিনি
এদিকে, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, চলতি মাসের শুরুতে ৪০ হাজার কম্বল চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। ছয় হাজার ৭০০ কম্বল পাওয়া গেছে এবং তা বিতরণও করা হয়েছে।