‘৫ই জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করতে হবে’

0
126
Print Friendly, PDF & Email

৫ই জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করতে সম্মিলিত পরামর্শ এসেছে রাজধানীতে আয়োজিত একটি নাগরিক সংলাপ থেকে। চারটি শীর্ষ সংগঠন এ সংলাপ আয়োজন করে। দিনব্যাপী এ সংলাপে দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন বক্তা আলোচনায় অংশ নেন। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আসন্ন নির্বাচন স্থগিত করে গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দেন। অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে ও ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এতে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ব্যরিস্টার রফিক উল হক, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে একটি অহিংস কর্মসূচি প্রণয়নেরও পরামর্শ দেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ গণতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের প্রধান কারণ। অতীতে দেশের মানুষ সামরিক স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। এখন গণতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র হঠানো অনেক কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনায় বক্তারা গণতন্ত্রের অভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, সংঘাত সহিংসতায় অগণতান্ত্রিক শক্তি লাভবান হবে। এজন্য দুই দলকেই অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। আলোচনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তিনজন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা অংশ নেননি বলে আয়োজক সূত্র জানিয়েছে।

শেয়ার করুন