কেমন পুরুষ পছন্দ করা উচিত তা নিয়ে অনেক নারীই দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। বিয়ে করার জন্য জীবন সঙ্গী খোঁজা ব্যাপারটা যেন তাদের কাছে অনেকটা অগ্নি পরীক্ষার মত কঠিন। কারণ যে মানুষটির সঙ্গে সারা জীবনের জন্য নিজেকে বেঁধে ফেলছেন সেই মানুষটি ভালো না হলে ভোগান্তিতেই কেটে যাবে জীবনটা।
আসুন জেনে নেয়া যাক কোন ৫ ধরনের পুরুষকে নারীদের এড়িয়ে চলা উচিত।
ব্যক্তিত্বহীন
নারীরা সব সময়েই ব্যক্তিত্ববান পুরুষদেরকে পছন্দ করে। যে সব পুরুষরা খুবই গায়ে পরা স্বভাবের কিংবা স্ত্রী বা প্রেমিকার পেছনে পেছনে ঘোরেন সারাক্ষণ, তাদের প্রতি খুব সহজেই আগ্রহ চলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কথাবার্তা, কাজ-কর্মে ব্যক্তিত্বের ছাপ নেই যে সব পুরুষদের তাদেরকে এড়িয়ে চলুন। কারণ এ ধরনের পুরুষের সঙ্গে সংসার জীবন বেশ একঘেঁয়ে লাগে। সবচেয়ে বড় কথা একটি দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে তিনি কখনোই আপনার পাশে এসে দাঁড়াবার সাহস করে উঠতে পারবেন না।
শিশুসুলভ
অনেক পুরুষই শিশুসুলভ আচরণ সম্পন্ন হয়। আচার আচরণ, কাজ কর্মে কিংবা দায়িত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে অনেক পুরুষই প্রাপ্তবয়স্কদের মত আচরণ করতে পারেন না। নারীরা পুরো জীবন কাটানোর জন্য একজন দায়িত্বশীল পুরুষের সঙ্গ কামনা করেন, সেই পুরুষের কাছে নিরাপত্তা ও সংসার চায়। তাই শিশুসুলভ আচরণের পুরুষদেরকে এড়িয়ে চলাই ভালো।
অতিরিক্ত মা ঘেঁষা
মায়ের প্রতি খুব বেশি নির্ভরশীল পুরুষরা সংসার করার যোগ্য নয়। কারণ তারা সব ব্যাপারেই মায়ের কাছে অনুমতি নেয় এবং স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাপারেও মায়ের মতামত ছাড়া কোনো কিছু করে না। নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হলেও তারা মায়ের কাছে সব কিছু বলে দেয়। এছাড়াও শুধু মায়ের কথায় চলার কারণে ভালো মন্দ বিচারের ক্ষমতা থাকে না এধরনের পুরুষদের। তাই অতিরিক্ত মা ঘেঁষা পুরুষদেরকে এড়িয়ে চলাই ভালো।
প্রযুক্তি পাগল
আপনি বিয়ে করেছেন সংসার করা জন্য। কিন্তু বিয়ের পরে যদি দেখেন যে আপনার স্বামী আপনার বদলে তার স্মার্ট ফোন আর ল্যাপটপ নিয়েই সারাদিন সময় কাটিয়ে দিচ্ছে তাহলে সংসারে অশান্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক। সংসারের বদলে মোবাইল কিংবা ফেসবুকে বেশি সময় দিলে দুজনের মনোমালিন্য হবেই।তাই এধরণের সমস্যায় পড়তে না চাইলে অতিরিক্ত প্রযুক্তির নেশাগ্রস্ত পুরুষদেরকে এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
অসামাজিক
ভুল করেও অসামাজিক পুরুষদেরকে পছন্দ করা উচিত না। অসামাজিক পুরুষরা আপনাকে আপনার পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধুদের থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নেবেন। এধরনের পুরুষরা তাদের প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীর সাথে হিংসুটে আচরণ করে এবং সমাজের থেকে তাকে আলাদা করে দেয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা আড্ডায় তাদেরকে নিয়ে গেলে বেশ লজ্জার সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া এ ধরনের পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে ধীরে ধীরে আপনাকেও সবাই এড়িয়ে চলা শুরু করবে। তাই অসামাজিক পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।