রাজশাহী মহানগর বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মহানগর বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনা জড়িতদের আটকের নামে মধ্যরাতে মহানগরীর শালবাগান ও সবজিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ৭-৮ জন বিএনপি ও যুবদল নেতার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় পুলিশ সদস্যরা।
এর মধ্যে কয়েকটি স্থানের নেতাকর্মীদের ধরেও নিয়ে যায় তারা।
মহানগর বিএনপির দফতর সম্পাদক জুয়েল জানান, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শরিফের সপুরা এলাকার বাসায় অভিযানের নামে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।
একই সময় ওই এলাকায় আরেক বিএনপি নেতা শাকিলুর রহমান শাকিলের বাড়িতেও ভাংচুর চালানো হয়। একই রাতে মহানগরীর সবজিপাড়া এলাকায় যুবদল নেতা ডাইমন্ডসহ অন্তত ৭-৮ জন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতার বাড়িতেও ব্যাপক ভাংচুর চালায়। আটক করে নিয়ে যায় বেশ কয়েক নেতাকে।
এছাড়া ওই রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির কেন্দ্রীয সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের উপ-শহর এলাকার তিন নম্বর সেক্টরের বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে ওই এলাকা থেকে কাউকে আটক করা হয়নি। দলের পক্ষ থেকে মহানগরজুড়ে পুলিশি তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। তবে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানগরীর বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। ওই অভিযানে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।