ঢাকা অভিমুখূী অভিযাত্রা নিয়ে ১৮ দল ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তবে প্রস্তুতির দিক থেকে ১৮ দলের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে জামায়াতে ইসলাম। জামায়াতের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, ঢাকা অভিযা্ত্রা কর্মসুচিতে অংশ নিতে জামায়াত ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, রবিবারের কর্মসূচিতে বড় ধরণের মহড়া দিতে চায় জামায়াত। তারা মনে করছে দলের শক্তি প্রদর্শনের এটাই উপযুক্ত সময়। এবং এটাকে তারা কাজে লাগাতে চায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসহযোগিতা করলে তা মোকাবেলার প্রস্তুতিও নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী এ দলটি।
জামায়াতের একজন সিনিয়র নেতা ঢাকাটাইমসকে জানান, কমপক্ষে এক লাখ নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে রবিবারের মার্চ ফর ডেমোক্রেসিকে সফল করার জন্য। ওইদিন যে কোনো মূল্যে ঢাকায় অবস্থান করার প্রস্তুতি নেয়ার জন্যও নেতাকর্মীদের বলে দেয়া হয়েছে।
ওই জামায়াত নেতা জানান, এমনকি কয়েকদিন ঢাকায় অবস্থান করার প্রস্তুতি হিসেবে নেতাকর্মীদের সাথে শুকনো খাবার ও পানি সাথে রাখতে জন্য বলা হয়েছে। যাতে খাওয়া দাওয়ার কোনো কষ্ট না হয়।
শিবিরের সাবেক সভাপতি ওই জামায়াত নেতা বলেন, প্রচণ্ড সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে মেডিকেল সার্ভিসও প্রস্তুত রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের। তিনি বলেন, জামায়াতের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে কর্মসূচি সফল করার জন্য।
গত ৫ মে’র হেফাজতের ওপর যে ধরণের আক্রমণ করা হয়েছিল তা স্মরণে রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াত। তেমন কিছু হলে প্রতিহত করারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ওই নেতা।
বৃহস্পতিবার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে কোনো ধরণের বাধা প্রতিহত করেই ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সফল করতে জামায়াতের প্রস্তুতি রয়েছে।
জামায়াত সূত্র জানায়, রবিবারের কর্মসূচিতে জামায়াতের কমপক্ষে ৩০ হাজার রুকন (সিনিয়র সদস্য) অংশ নেবে। এছাড়া শিবিরের ২০ হাজার সাথি ও সদস্য অংশ নেবে।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, সরকার যদি গোটা দেশের যানবাহন বন্ধ করে দেয় সে ক্ষেত্রেও বিকল্প ভেবে রেখেছে দলটি।বিকল্প পস্তুতি রয়েছে জামায়াতের। ঢাকা ঘিরে যেসব জেলা আছে সেসব জেলা থেকেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি সফলে মাঠে নেমে যাবে।
সূত্র জানায়, আজ শুক্রবারের মধ্যে দেশের দূরবর্তী জেলা থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় পৌঁছে যাবে। আর ঢাকার আশপাশ অঞ্চল যথা- কুমিল্লা, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ থেকে শনিবারেই নেতাকর্মীরা ঢাকায় চলে আসার নির্দেশ দিয়েছে জামায়াত।
জামায়াত সূত্র জানায়, ঢাকায় আসার পর আত্মীয়-স্বজনের বাসায় অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আছে এমন মেস, হোটেল বা অন্য কোনো স্থানে অবস্থান করতে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে, সরকার যদি যানবাহন বন্ধও করে দেয় তাহলে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে হেঁটে ঢাকায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে নেতাকর্মীরদের। এছাড়া দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসতে বলে দেয়া হয়েছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।