এক ওভারে পাঁচ উইকেট। তাতে হ্যাটট্রিকও যে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন ঘটনা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আগে ঘটেছে কি না খুঁজে দেখতে হবে। তবে এমনটিই ঘটালেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার আল-আমিন। বৃহস্পতিবার সিলেটে আবাহনীর বিপক্ষে এক ওভারে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে খেলা এই পেসার।
আবাহনীর ইনিংসের শেষ ওভার ছিল সেটি। ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪১ রানে তখন আবাহনী। হাতে ৫ উইকেট। শেষ ওভারে আল-আমিনের বোলিং-ঝড়ে মাত্র দুই রানে নেই সেই পাঁচ উইকেট।
এর আগে ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন আল-আমিন। পাঁচ উইকেট নেয়ার ওভারের প্রথম বলে মেহেদি মারুফকে বানালেন আরাফাত সানির ক্যাচ। ওভারের তৃতীয় বলে নাজমুল মিলন, চতুর্থ বলে সোহরাওয়ার্দী শুভ, পঞ্চম বলে নাঈম ইসলাম জুনিয়রকে আউট করলেন। হয়ে গেল হ্যাটট্রিক। ওভারের শেষ বলে আউট নাবিল সামাদ। এর আগে ওভারের দ্বিতীয় বলে দেন দুই রান।
টানা চার বলে চারটি উইকেট! ক্রিকেটের পরিভাষায় ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডাবল হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব আছে কেবল একজনের—শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার। তবে আল আমিনের এই ডাবল হ্যাটট্রিক করা ম্যাচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়।
আল-আমিনের ঝড়ে এই ম্যাচে আবাহনীর স্কোর ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪১ থেকে ২০ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট! শেষ ওভারে দুই রানে পাঁচ উইকেট। সব মিলে এই ম্যাচে আল-আমিন ১৭ রানে ৫ উইকেট নিলেন।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের জয়টাও সহজ হয়নি। ১৮ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৩১। হাতে ৫ উইকেট রেখে ১২ বলে তাদের দরকার ছিল ১৩ রান। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটের জয় পায় তামিমের দল। ৫২ বলে ৬১ করার পথে ছয়টি চার ও দুটো ছক্কা হাঁকিয়েছেন তামিম। তবে জয়ের নায়ক আল-আমিনই। ম্যাচসেরাও হলেন তিনি।