রূপকল্প ২০৪১-এর ঘোষণা নিয়ে আসছে আ.লীগের ইশতেহার

0
97
Print Friendly, PDF & Email

‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে রচিত হয়েছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার। শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। এ ইশতেহারের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য হিসেবে ইশতেহারে বলা হবে, “আওয়ামী লীগ ভিশন নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করবে যদি আরেকবার নির্বাচিত হয়। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের পর্যায় পেরিয়ে এক শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদ। সুশাসন, জনগণের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন হবে এই অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র। এর মধ্যেই সুপ্রতিষ্ঠিত ও বিকশিত হবে তিন স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অর্থায়নের কৌশল নির্ধারণ করা হবে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারের মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে। আর এর বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবে মূলত স্থানীয় সরকার। এজন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার হবে প্রতিসংক্রম এবং স্থানীয় প্রশাসন হবে মূল নির্বাহী শক্তি।”

Awaইশতেহারে আগামী পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘দেশবাসী সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হবে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, অপুষ্টির অভিশাপ দূর হবে; দারিদ্র্যের লজ্জা ঘুচে যাবে, নিরক্ষরতা দূর হবে, শিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠবে, শিল্প-সভ্যতার ভিত্তি রচিত হবে; প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছবে, বেকারত্বের অবসান ও কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে; যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে, পরিকল্পিত নগর-জনপদ গড়ে উঠবে, রাজধানী ঢাকা যানজটমুক্ত তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সমৃদ্ধির সোপানে পা রাখবে। রাজনীতি থেকে হিংসা, হানাহানি, সংঘাতের অবসান হবে, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের ধারা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসবে। গড়ে উঠবে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। 

ইশতেহারের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘শুরু হয়েছে দারিদ্র্য ও পশ্চাৎপদতা হতে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ঐতিহাসিক কালপর্ব। পূর্ণ হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪২ বছর। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেবল এই অর্জনের রূপকারই নয়; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই সূচিত হয়েছিল উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণের মহৎ কর্মযজ্ঞ। যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে উঠে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ।’

10th National Perlamentery Election 2

ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য দিক: 

আওয়ামী লীগের স্বর্ণযুগ:

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ (১৯৯৬-২০০১) বলে আখ্যায়িত করে বলা হয়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং জাতীয় চার নেতার হত্যার এই দুঃসহ রাজনৈতিক অবস্থার অবসান ঘটে ১৯৯৬ সালে। দেশবাসীর বীরত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং অগণিত শহীদের আত্মদানের পটভূমিতে ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ২১ বছর পর আবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যগাঁথা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

২০০১-২০০৬ সালের বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের সরকারের সময়কালকে সম্ভাবনার অপমৃত্যু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিএনপি-জামাত জোট তাদের পাঁচ বছরের দুঃশাসনে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে বলেও দাবি করা হয় ইশতেহারে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পাঁচ বছর :

ইশতেহারে বলা হয়, অঙ্গীকার পূরণ করার মাধ্যমে বদলে যাওয়া দৃশ্যপট আওয়ামী লীগ সরকারের সফল করত পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল একটা দীর্ঘমেয়াদি সুস্পষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ’। ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত রূপকল্প-২০২১ বা ভিশন-২০২১ নামে পরিচিতি লাভ করে। 

সদ্য সমাপ্ত পাঁচ বছর মেয়াদে আমরা এই কর্মসূচি ও রূপকল্প-২০২১-এর বাস্তবায়িত কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরা হয়।

 

সুশাসন, গণতন্ত্রায়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়ন 

আওয়ামী লীগের ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া বিষয় হল, “সুশাসন, গণতন্ত্রায়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়ন”। এ ইশতেহারে যেসব বিষয় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো:

১.১ শান্তি-স্থিতিশীলতা: জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা বিধান, তাদের কাজের ও চলাফেরার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

১.২ সংবিধান ও সংসদ : সংবিধান সুরক্ষা, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত করা হবে। সংসদকে কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংসদের ভেতরে এবং বাইরে সংসদ সদস্যদের সামষ্টিক ও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ বিধি-বিধান করা হবে।

১.৩ জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও সমুন্নত রাখা।

১.৪ যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন এবং শাস্তি কার্যকর করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে গিয়ে আন্দোলনের নামে হত্যা, সন্ত্রাস, পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ, শিল্প-কারখানায় অগ্নিসংযোগ, রেলওয়ের ফিশ প্লেট উপড়ে ফেলা, সড়ক কাটাসহ রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদের ধ্বংস সাধন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, উপাসনালয় ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কারখানাসহ অর্থনীতির পুনর্বাসন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান এবং নাশকতার ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকল নাগরিকের স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। ধর্ম, বর্ণ, নৃ-পরিচয়, লিঙ্গ এবং সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে, রাষ্ট্রের চোখে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

১.৫ বিচার বিভাগ ও আইনের শাসন : বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা সংহত করা হবে। সর্বস্তরে জনগণের বিচার প্রাপ্তি সহজলভ্য এবং মামলাজট মুক্ত করে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে বিচার সম্পন্ন করার জন্য গৃহীত প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কারসহ বিচার বিভাগের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির বাস্তবায়নাধীন ব্যবস্থা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। সবার জন্য আইনের সমান প্রয়োগ, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম জোরদার করা হবে। ন্যায়পাল নিয়োগ ও স্বাধীন মানবাধিকার কমিশনকে আরও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে।

১.৬ নির্বাচন ব্যবস্থা : ইতোমধ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলার যে সূচনা হয়েছে তা সংহত এবং শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করা হবে। নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী, দক্ষ এবং স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী করা হবে। যুগের প্রয়োজনে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার অব্যাহত থাকবে।

১.৭ ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন : রাষ্ট্র পরিচালনায় এবং জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জনগণের ক্ষমতায়ন ও অধিকতর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। বর্তমান কেন্দ্রীভূত প্রশাসনিক কাঠামোর গণতান্ত্রিক পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের কাছে অধিকতর ক্ষমতা ও দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি স্তর বিন্যাসের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত করা হবে। সর্বস্তরে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে অধিকতর ক্ষমতাশালী ও দায়িত্বশীল করার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করা হবে। প্রশাসনিক সংস্কার এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। সর্বস্তরে ই-গভর্নেন্সকে সম্প্রসারিত করা হবে।

১.৮ দুর্নীতি প্রতিরোধ : দুর্নীতি প্রতিরোধে, আইনি, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ জোরদার করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে প্রতিষ্ঠানটির কার্যকারিতা আরও বাড়ানো হবে। ঘুষ, অনোপার্জিত আয়, কালো টাকা, চাঁদাবাজি, ঋণখেলাপি, টেন্ডারবাজি ও পেশিশক্তি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিজেদের সম্পদ, আয়-রোজগার সম্পর্কে সর্বস্তরের নাগরিকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

১.৯ পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করা হবে। 

২.১ জনগণের জীবনযাত্রার ক্রমাগত মানোন্নয়ন, তাদের আয়-রোজগার বৃদ্ধি এবং খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীলতা আনয়ন করা। 

২.২ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। শিল্পায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, কর্মসংস্থান, কৃষি, খাদ্য, ভূমি ও পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা ও মানব উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা, শিশু-কিশোরও তরুণ প্রজন্ম, যোগাযোগ: সড়ক, রেলওয়ে, বিমান ও নৌ-পরিবহন, মাদকাসক্তি প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তন : পরিবেশ ও পানিসম্পদ, শ্রমিক ও প্রবাসী কল্যাণ, নগরায়ন: পরিকল্পিত উন্নয়ন, গণমাধ্যম ও তথ্য অধিকার, জাতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ও মুক্তিযোদ্ধার কল্যাণ, সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, অনুন্নত সম্প্রদায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম, প্রতিরক্ষা, খেলাধুলা ও ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা, এনজিও ও বিধিবদ্ধ সিভিল সোসাইটি সংগঠন, পররাষ্ট্রনীতিতে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে।

ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ভোটারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বাস, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং দেশকে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আপনারা আরেকবার দেশ সেবার সুযোগ দেবেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আরো কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, “নারীর ক্ষমতায়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, শিক্ষার প্রসার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হবে এই অগ্রযাত্রার নিয়ামক উপাদান। সরকারি বাজেটের সিংহভাগ বাস্তবায়িত হবে স্থানীয় স্তরে, এ দায়িত্ব পালন করবে স্থানীয় প্রশাসন। এক বিকেন্দ্রায়িত শাসন ব্যবস্থা হবে বাংলাদেশের বিশেষত্ব। এই বিবর্তনের নিশ্চয়তা দেবে গণতান্ত্রিক আচরণ, পরমতসহিষ্ণুতা, সমঝোতা এবং একনিষ্ঠভাবে জনকল্যাণে নিবেদন। দেশমাতৃকার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে নতুন প্রজন্ম প্রাণ-প্রাচুর্যভরা সৃষ্টি সুখের উল্লাসে টগবগে বাংলাদেশের যুবসমাজ। আর এই যুব সমাজের হাতেই তুলে দিতে চায় শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই ইশতেহার।”

শেয়ার করুন